স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ৮নং পাগলা কানাই ঐতিহ্যবাহী ঢোল সমুদ্র দিঘির পুরাতন গাছ কেটে নেওয়ার চেষ্টা করেছে একটি ভূমিদস্যু চক্র। পাগলা কানাই ইউনিয়ন ভুমি অফিস বাঁধার মুখে গাছগুলো নিতে পারেনি তারা। বর্তমানে ইউনিয়নের চকিদার দিয়ে দিঘি ও কেটে নেওয়া গাছগুলো পাহারা দেওয়া হচ্ছে। গাছ কাটার ফলে হুমকির মুখে পড়েছে দিঘির সৌন্দর্য ও পরিবেশ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিগত কয়েকদিন ধরে নির্বিচারে ঐতিহ্যবাহী ঢোল সমুদ্র দিঘির পুরাতন কড়াইগাছসহ ৩৫টি বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কাটে একটি চক্র। স্থানীয়রা তাদেরকে বাঁধার দিলেও তাদের কোন পাত্তা দেওয়া হয়নি। অবশেষে ঝিনাইদহ পাগলা কানাই ভুমি অফিস প্রশাসনের সহযোগিতায় কাটা গাছগুলো তাদের হেফাজতে নেয়। এ ব্যাপারে পাগলা কানাই ইউনিয়ন ভুমি অফিসের সহকারি ভুমি কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম ঝিনাইদহ সদর সহকারী কমিশনার (ভুমি) বরাবর দেওয়ানি ৫০/১৭ নং মামলা দায়ের করার জন্য কাগজপত্র প্রেরণ করেছে। তবে দিঘিটি ব্যাপারে ওই চক্রটি বর্তমানে কোন তৎপরতা নেই বলে জানা গেছে। এব্যাপারে পাগলাকানাই ইউনিয়ন ভূমি অফিস সহকারী কর্মকর্তা এমএ কাইয়ুম মুক্ত জানান ্ঐতিহ্যবাহী দিঘিটি জরিদারদের ফেলে যাওয়া পরিত্যাক্ত সম্পত্তি। দিঘিটির কোন ওয়ারেস বা কোন মালিক নেই। তাই দিঘিটি সরকারের উপর নিঃশর্তভাবে বর্তাবে।

উল্লেখ্য, ঝিনাইদহের পুরাতন ঐতিহাসিক স্থানের মধ্যে অন্যতম ঢোল সমুদ্র দীঘি। প্রায় ৫২ বিঘা জমির উপর অবস্থিত এই দীঘি ঝিনাইদহের সর্ববৃহৎ দীঘি। সুন্দর এবং মনোরোম পরিবেশ বিশিষ্ট এই দীঘি। বহুবছর আগে থেকেই এই দীঘি ঝিনাইদহে বিনোদনের একটি অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বিভিন্ন উৎসবে যেমন পহেলা বৈশাখ,বিশ্ব ভালোবাসা দিবস,ঈদ,বিভিন্ন পূজায় অনেক মানুষ ভিড় জমায় এই দীঘিতে। আবার অনেকেই দল বেঁধে এই দীঘির পাড়ে পিকনিক করতে আসে। প্রকৃতিপ্রেমী মানুষের হৃদয় মুহুর্তেই কেড়ে দিঘিতে। তবে দিঘি সৃষ্টির ব্যাপারে মানুষের মধ্যে আজও বিভিন্ন কৌতুহল রয়েছে।

জেলা ডেস্ক ।। বিডি টাইমস নিউজ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে