রাবি প্রতিনিধিঃ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের ১৩-১৪ সেশনের মাস্টার্স ফাইনাল পরীক্ষায় ৫৩ জনকে বাদ রেখে মাত্র ১১ জনকে নিয়ে পরীক্ষা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পরীক্ষা কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে । এ ঘটনায় পুনরায় পরীক্ষার দাবিতে শনিবার বিভাগের সামনে অবস্থান ধর্মঘট ও অনশন করেছে বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

পুনরায় পরীক্ষার বিষয়ে কোনরকম আশ্বাস না পাওয়ায় পরে সন্ধ্যা ৬ টা থেকে সাড়ে সাতটা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। পরে ছাত্র উপদেষ্টা পুনরায় পরীক্ষা নেওয়ার আশ্বসে অনশন কর্মসূচি সমাপ্ত ঘোষণা করেন তারা। আন্দোলনাকারী শিক্ষার্থীরা জানান, গত ১৪ মার্চ তারিখে বিভাগের একই বর্ষের শিক্ষার্থী  কানিজ ফাতেমার বাবা মারা যান। এ ঘটনায় শনিবার পূর্বনির্ধারিত ৫০২ নং কোর্স ‘কোগনেটিভ নিউরো সাইকোলজি’ পরীক্ষা মানবিক দিক বিবেচনায় নিয়ে পরীক্ষা না নেওয়ার জন্য  কমিটির নিকট অনুরোধ জানায় তারা। কিন্তু শিক্ষার্থীদের বিষয়টি বিবেচনা না করেই  পূর্বনির্ধারিত সময়ে পরীক্ষা নেন। তাদের অভিযোগ  কমিটির  কয়েকজন সদস্য না নেয়ার পক্ষে মত দিলেও সভাপতি একক ইচ্ছায় পরীক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যান।

বিভাগ সূত্রে জানা যায়, শনিবার সাড়ে ১২ টা থেকে সাড়ে ৪ টা পর্যন্ত বিভাগের ৩৪১ ৩৪২ নং কক্ষে পরীক্ষার আয়োজন করে বিভাগ কর্তৃপক্ষ। এয়ে মাস্টার্স এর ৬৪ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র ১১ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়।পরীক্ষা কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. সাবিনা সুলতানা জানান, পরীক্ষার তারিখ নির্ধারিত ছিলো। পরীক্ষা স্থগিত করার নোটিশও দেওয়া হয়নি। এখন যারা পরীক্ষা দিতে এসেছে তাদের নিয়েই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শিক্ষার্থীর বাবা মারা যাওয়ার বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা বলেছিলো স্থগিত করতে তবে পরীক্ষা কমিটি, বিভাগীয় সভাপতি মনে করেছে পরীক্ষা স্থগিত করা হবে না তাই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ দায় কমিটির সভাপতির নয় বলেও দাবি করেন তিনিএ বিষয়ে মনোবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি ড. এনামুল হকের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।

ছাত্র উপদেষ্টা প্রফেসর ড. লায়লা আরজুমান বানুর বলেন ” আমি তাদের স্মারক লিপি দিতে বলেছি। আমি আমার অবস্থান থেকে যতটুকু করা যায় করার চেষ্টা করব।”

মেশকাত মিশু
রাবি নিউজ ডেস্ক।। বিডি টাইম্ নিউজ

 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে