রাবি প্রতিনিধিঃ আজকের এই দিনেই বাঙালি জাতির ভিত্তি স্থাপন হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু না থাকলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিলীন হয়ে যেতে পারতো। কৃতজ্ঞতার সাথে তাকে আমরা স্মরণ করছি।’ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭’ই মার্চের ভাষণ ইউনেস্কো কর্তৃক ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য’ হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় আনন্দ র্যালি শেষে সমাবেশে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এম. আব্দুস সোবাহান।
এসময় তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুকে বলা হয় রাজনীতির কবি। তাঁর ভাষণ পৃথিবীর অন্যতম ভাষগুলোর মধ্যে একটি। বাঙালি জাতির জন্য এটি গর্বের, সম্মানের এবং আনন্দের। আমরা যে হীনমন্য জাতি নই, সময়ে সময়ে আমরা প্রকাশ করেছি। কলকাতা ইসলামিয়া কলেজে ছাত্ররাজনীতি করার সময় যে পাকিস্তানি নেতারা তার পক্ষে ছিল পরবর্তীতে তারাই বঙ্গবন্ধুর বিরোধীতা করে। বঙ্গবন্ধু না থাকলে বাংলা ভাষা বিলীন হয়ে যেতে পারতো, বঙ্গবন্ধুর অবদান কোন অংশে কম নয়। যার ঋণ কখনো বাঙ্গালি জাতি শোধ করতে পারবে না।
এদিকে দিবসটি উপলক্ষে বর্ণাঢ্য আনন্দ র্যালি বের করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। র্যালিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ, আবাসিক হল, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ অংশ নেয়। বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবাশ বাংলাদেশ মাঠ থেকে র্যালিটি বের করা হয়। র্যালিটি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে শহীদ মিনার মুক্তমঞ্চে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।এর আগে ছাত্র-উপদেষ্টা প্রফেসর লায়লা আরজুমান বানুর সঞ্চালনায় উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যসহ প্রশাসনে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ সাবাশ বাংলাদেশ বেদিতে সম্মিলিত কন্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
র্যালিতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান আল-আরিফ, রেজিস্টার অধ্যাপক এম এ বারী, প্রক্টর অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রভাষ কুমার কর্মকার, সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল্লাহ, সাবেক ছাত্র-উপদেষ্টা অধ্যাপক জান্নাতুল ফেরদৌস প্রমুখ। অনুষ্ঠান শেষে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা ধন্যবাদ জ্ঞাপনের মাধ্যমে সমাপ্তি ঘোষণা করেন।