দীর্ঘ ২৯ বছর পর অনুষ্ঠেয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতকল্পে ছাত্র সংগঠনসমূহের সাথে সংলাপের অংশ হিসেবে ছাত্র ইউনিয়নের সাথে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। মঙ্গলবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কার্যালয়ে এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। সংলাপে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ হতে প্রক্টর অধ্যাপক এম. লুৎফর রহমান,সহকারী-প্রক্টর অধ্যাপক নাজমুল হায়দার, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক লায়লা আরজুমান বানু এবং বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের রাবি সভাপতি শাকিলা খাতুন ও সাধারণ সম্পাদক মিঠুন চন্দ্র মহন্ত সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।
এসময় তারা রাকসুর গঠনতন্ত্রের আর্টিকেল ২ এবং ৬ এর উপধারা (৯),(১০),(১১),(১২),(১৯) ও (২০) এর সংশোধন ও বেশ কিছু নতুন পদ সংযুক্তির দাবি জানান। এছাড়াও তারা সভাপতি ও কার্যনির্বাহী কমিটির ক্ষমতার ভারসাম্য না থাকায় আর্টিকেল ৭ কে অগণতান্ত্রিক আখ্যা দিয়ে তা বাতিলের দাবি জানান।কিন্তু গঠনতন্ত্র সংশোধনের বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক এম. লুৎফর রহমান বলেন, “গঠনতন্ত্র সংশোধন করা রাকসু হওয়ার আগে সম্ভব নয়। কারণ রাকসুরই মাধ্যমেই সংশোধন সম্ভব।”
কী আছে ১৩ দফা দাবিতে: সংগঠনটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সাক্ষরিত লিখিত দাবিদাওয়া সম্বলিত স্বারক লিপিতে ১৩ দফা দাবি তুলে ধরা হয়। দাবি গুলোর চুম্বক অংশ হচ্ছে: দ্রুত রাকসু নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা, নির্বাচনের পরিবেশ পরিষদ গঠন করা, ভোটার তালিকা দ্রুত হালনাগাদ করা,সন্ধ্যাকোর্স বাতিল এবং কোর্সের শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থী তালিকা হতে বাদ দেয়া, ক্যাম্পাস ও আবাসিক হল গুলোতে সব সংগঠনের সহাবস্থান ও রাজনৈতিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করা, অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী ও সকল সংগঠনের কাছে গ্রহণযোগ্য শিক্ষকদের নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করা, একাডেমিক ভবনে ভোটকেন্দ্র স্থানান্তর ও সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনা, আবাসিক হলগুলো দখলদারিত্ব মুক্ত করা, মেয়েদের হলে সান্ধ্য আইন বাতিল করা, বিশ্ববিদ্যালয়ে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি নিষিদ্ধ করা, নির্বাচন কালে সাংবাদিকদের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা, সকল সংগঠনের কাছে গ্রহণযোগ্য শিক্ষক,সাধারণ শিক্ষার্থী ও অংশগ্রহণকারী সকল সংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে পর্যবেক্ষণ কমিটি গঠন করা।
সংলাপে উত্তাপিত ১৩ দফা দাবির বিষয়ের জানতে চাইলে ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি শাকিলা খাতুন জানান, “উনারা বলেছেন এটা হচ্ছে একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনা, আমাদের সমস্যাগুলো তারা শুনেছেন। তাই এখনো দাবিদাওয়া মেনে নেয়া বা না নেয়ার বিষয় নেই। প্রশাসন আমাদের বক্তব্য গুলো আন্তরিকভাবে শুনেছেন।”
মেশকাত মিশু
রাবি ।। বিডি টাইম্স নিউজ