বাংলাদেশের জন্য স্থাপিত ভারতের ঝাড়খণ্ডে নির্মাণাধীন আদানি গ্রুপের ১৬০০’মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে এখন পরীক্ষামূলকভাবে ২২৫’মেগাওয়াট বিদ্যুৎ নিচ্ছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড পিডিবি। আগামী মার্চে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদিত ১৪৯৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দিতে চায় ভারতের আদানি গ্রুপ। এ’বিষয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছেন, এই বিদ্যুতের প্রতি ইউনিটের দাম পড়বে ১৭ থেকে ১৮ টাকা। ডলার সঙ্কটের কারণে রুপি দিয়ে এই বিদ্যুৎ কেনা যায় কিনা তা নিয়ে তিনি ভারত সরকারের সাথে আলাপ করবেন।
আগামী মার্চের মধ্যেই দেশে বিদ্যুৎ আসবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি। ভারত হতে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ দেয়ার জন্য ডেডিকেটেড সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করা হয়েছে হয়েছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী। ২০১৫’সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঢাকা সফরকালে আদানি গ্রুপের সাথে বিদ্যুৎ কিনতে সমঝোতা করে বাংলাদেশ সরকার। এরপর ভারতে ঝাড়খণ্ডে ১৬০০ মেগাওয়াটের এই কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণ করে আদানি। যার প্রথম ইউনিট চালু হয়েছে, ২য় টির কাজ শেষ হবে মার্চে।
মঙ্গলবার(৩’রা জানুয়ারি) ঝাড়খণ্ডের গোড্ডা পাওয়ার প্লান্টটি পরিদর্শনে যান বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল। কয়লা দিয়ে উৎপাদিত হলেও এই বিদ্যুতের দাম পড়ছে প্রতি ইউনিট ১৭ টাকা। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে কয়লার দাম বেড়ে যাওয়ায় কারণে শুধু আদানি নয়, পায়রাসহ অন্যান্য কেন্দ্রের বিদ্যুতের দামও বেড়েছে। প্রতিমন্ত্রী জানান, দুই দেশের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বাড়াতে বাংলাদেশের জন্য ভারতে বিদ্যুৎ কেন্দ্র বসানোর অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
আদানি গোড্ডা পাওয়ার প্লান্টের এমডি ও সিইও অনিল সর্দানা জানান, ভারত সরকারের নিয়ম অনুযায়ী আমদানি করা কয়লা দিয়েই এই বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে হচ্ছে। যার কারণে বিদ্যুতের দাম বেশি পড়ছে। ভারতের ঝাড়খণ্ড থেকে ২০০ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন টেনে এই বিদ্যুৎ আসবে বাংলাদেশে। চুক্তি অনুযায়ী ২৫ বছর বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে এখান থেকে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে আদানি গ্রুপ।