বাংলাদেশ বেতারের সদ্যপ্রয়াত মহাপরিচালক আহম্মদ কামরুজ্জামানের প্রথম জানাজার নামাজ শনিবার দিবাগত রাত ১২টায় বাংলাদেশ বেতার সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত হয়েছে। মধ্যরাতেও তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং বেতারের সর্বস্তরের প্রায় দুই শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারি এতে অংশ নেন। সিঙ্গাপুরে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ক্যান্সারে চিকিৎসাধীন আহম্মদ কামরুজ্জামান শনিবার ভোরে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। প্রয়াতের মরদেহ বিমানযোগে রাতে ঢাকা এসে পৌঁছালে সরাসরি আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ বেতার প্রাঙ্গণে নিয়ে আসা হয়।
জানাজার আগে মন্ত্রীর দপ্তরের পরিচালক-জনসংযোগ ও সহকারি একান্ত সচিব তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের পক্ষে প্রয়াতের কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন সচিব মো: মকবুল হোসেন, বেতারের দায়িত্বরত মহাপরিচালক খাদিজা বেগমের পক্ষে তার কর্মকর্তা, বেতার ঢাকা কেন্দ্রের পরিচালক কামাল আহমেদ, বিসিএস ইনফরমেশন এসোসিয়েশনের সভাপতি স. ম. গোলাম কিবরিয়া প্রমুখ।
বাংলাদেশ বেতারের অনুষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নসরুল্লাহ মো: ইরফান, উপমহাপরিচালক মো: ছালাহউদ্দিন, পরিচালক সায়েদ মোস্তফা কামাল, বার্তা বিভাগের অতিরিক্ত মহাপরিচালক এ এস এম জাহীদ, পরিচালক মুহা: শরীফুল কাদের, পরিচালক-মনিটরিং শফিকুল আলম, বার্তা নিয়ন্ত্রক মোছা: তানিয়া নাজনীন, প্রধান প্রকৌশলী মো: মাসুদ ভূঁইয়া, সিনিয়র প্রকৌশলী মো: মাহবুব রহমান, স্টেশন প্রকৌশলী মোহাম্মদ আব্দুর রহমান, প্রশাসন ও অর্থ বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকীসহ শতশত সহকর্মী প্রয়াত আহম্মদ কামরুজ্জামানের জানাজায় সমবেত হন। সংক্ষিপ্ত কথনে তারা প্রয়াত মহাপরিচালকের সুআচরণ ও কর্মনিষ্ঠার স্মৃতিচারণ করেন। তার আত্মার চিরশান্তি এবং স্ত্রী শাহনাজ পারভীন ও দুইকন্যা সিরাজুম মনিরা ও আসমাউল হুসনার শোক সহ্যশক্তির জন্য প্রার্থনা করেন তারা।
জানাজার পর অতিরিক্ত পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) মো: আল আমিন খান মরদেহ নিয়ে প্রয়াতের নিজ বাড়ি যশোরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। সেখানে রোববার শহরের পোস্ট অফিস পাড়ায় বাসভবনের সামনে বাদ জোহর অনেক মানুষের অংশগ্রহণে জানাজার পর স্থানীয় কারবালা মসজিদলগ্ন কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজের ১১তম ইনটেকের এক্স-ক্যাডেট আহম্মদ কামরুজ্জামানের জন্ম ১৯৬৩ সালের ১ জানুয়ারি যশোরে। বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং-এ প্রথম শ্রেণিতে স্নাতক কামরুজ্জামান ১৯৮৭ সালে ৭ম বিসিএস তথ্য ক্যাডারে (বেতার প্রকৌশল) মেধা তালিকায় ১ম হয়ে বাংলাদেশ বেতারে যোগদান করেন।
২০১৪ সালে তিনি প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে পদোন্নতি পান এবং ২০২১ সাল থেকে মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। চলতি মাসের ৪ তারিখ থেকে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ক্যান্সারের সাথে যুদ্ধ করে ২৩ জুলাই না ফেরার দেশে চলে যান কামরুজ্জামান। বিশ্বব্যাপী বাংলাভাষী শ্রোতাদের প্রিয় বাংলাদেশ বেতার অ্যাপ চালু করাসহ ৩৫ বছরের কর্মজীবনে অনেক উদ্ভাবনী সাফল্যের স্বাক্ষর এবং সুআচরণের অনন্য নজির রেখে গেছেন তিনি।
নিউজ ডেস্ক ।। বিডি টাইম্স নিউজ