বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জন্ম হার আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে। প্রতি বছর ৩৫ হাজার শিশু জন্মগ্রহণ করছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। রোববার বলপ্রয়োগে বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের সমন্বয়, ব্যবস্থাপনা ও আইনশৃঙ্খলা সম্পর্কিত জাতীয় কমিটির চতুর্থ সভা শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।
মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের কারণে নিরাপত্তাসহ নানা জটিলতা তৈরি হয়েছে কক্সবাজারের টেকনাফসহ আশপাশের এলাকায়। আর এর মধ্যে ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের গত পাঁচ বছরে জনসংখ্যা বেড়েছে দেড় লাখ।রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জন্ম নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। ক্যাম্পে জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। ক্যাম্পের ভেতরে ও আশপাশে কেউ যাতে মাদক ব্যবসা করতে না পারে, সেজন্য নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ‘আমরা দেখেছি রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় জন্মহার আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই জায়গায় আমাদের স্বাস্থ্য বিভাগকে বলবো, ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে বলবো- তারা যাতে সবাইকে জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারে উদ্ধুদ্ধ করে। সেজন্য আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে যাচ্ছি’।স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে আমরা দেখতে পাচ্ছি এখানে যেসব রোহিঙ্গা এসেছে, প্রতি বছর তাদের সংখ্যা ৩৫ হাজার করে বেড়ে যাচ্ছে, অর্থাৎ ৩৫ হাজার রোহিঙ্গা শিশু জন্ম নিচ্ছে। পাঁচ বছর হয়েছে, এতে দেড় লাখ কিন্তু অটোমেটিক বেড়ে গেছে। সেখানেও আমাদের একটি আশঙ্কার জায়গা। সেটা যাতে আমরা ট্যাকেল দিতে পারি, সেজন্য এসব ব্যবস্থার কথা আমরা চিন্তা-ভাবনা করছি’।
বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকরা যাতে বাংলাদেশের পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে না পারে, সেজন্য তথ্য যাচাইয়ে ইউএনএইচসিআরের সহযোগিতা নেয়া হবে বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।তিনি জানান বলেন, ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সেনাবাহিনীর সাথে সমন্বয় করে কাজ করবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এছাড়া উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভেতরে অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করা হচ্ছে’।
তথ্যঃ ইন্ডিপেনডেন্ট