জহির সিকদার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি।। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ভোট কেন্দ্র নিয়ে আপত্তি তুলেছেন সেখানকার ভোটাররা। এর প্রধান কারণ কেন্দ্রটিতে সারা বছর পানি জমে  থাকে এবং সেই সাথে  ভোটারদের দাঁড়ানোর জায়গাও থাকেনা।

এছাড়া কেন্দ্রটি গ্রামের এক প্রান্তে অবস্থিত হওয়ার কারনে যোগাযোগ ব্যবস্থায় রয়েছে বিশাল  সমস্যা। যে কারণে ভোটাররা এ আপত্তি তুলেছেন। নির্বাচন কমিশনের সচিব ও নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) কাছে দেওয়া আবেদন থেকে জানা যায়, সংসদ নির্বাচনে ৩নং ওয়ার্ডের ভোট কেন্দ্র স্থাপন হয় পানিশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়ে, যেটি পানিশ্বর এলাকার মাঝামাঝি স্থানে অবস্থিত। অন্যদিকে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র করা হয়েছে শাখাইতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে, যা এলাকার এক প্রান্তে অবস্থিত।
আবেদনে আরো উল্লেখ করা হয় শাখাইতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি বছরের অধিকাংশ সময় জুড়ে পানিতে ডুবে থাকে।

এ ছাড়া ওখানে যেতে হলে অন্যান্য মানুষের বাড়ির রাস্তার ওপর দিয়ে যেতে হয়। তাছাড়া উক্ত কেন্দ্রে ভোটারদের দাঁড়ানোর মতো পর্যাপ্ত জায়গাও নেই। ভৌগলিক অবস্থানসহ নানা কারণে কর্মরতদের পক্ষে আইনশৃংখলা রক্ষা করাও কঠিন। এদিকে গত তিন-চারদিন আগে থেকে কেন্দ্রে থাকা পানি সেচের মাধ্যমে সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হয়। একজন জনপ্রতিনিধি যিনি শাখাইতি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কেন্দ্র রাখার পক্ষে তিনিই নিজ উদ্যোগে পানি সেচের ব্যবস্থা করেন।

এলাকাবাসীর পক্ষে আবদেন করা মোঃ ছাদু মিয়া তার লিখিত বক্তব্যে ভোটারদের স্বার্থে কেন্দ্রটি পানিশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়ে আসার অনুরোধ করেছেন। তিনি আরো উল্লেখ করে বলেন ১৯৯৪ সালের পূর্বে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ভোট কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার হওয়া পানিশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়ে মোট ২৫টি কক্ষ থাকায় নির্বিঘ্নে ভোটগ্রহণ করা যাবে। পাশাপাশি খালি মাঠ থাকায় ভোটারদের দাঁড়াতেও সুবিধা হবে বলে। আবেদনের সঙ্গে কেন্দ্র বদলের পক্ষে থাকা প্রায় দু’শ জন ভোটারের নাম, স্বাক্ষর জুড়ে দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আরিফুল হক মৃদুল মঙ্গলবার বিকেলে কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘যেহেতু এ বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের ব্যাপার সেহেতু আবেদনটি জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে। তবে ভোট কেন্দ্রের তালিকা প্রকাশের পর এটি বদলের সুযোগ আছে কি-না আমি নিশ্চিত নই।’ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জিল্লুর রহমান সাংবাদিকদেরকে জানান, বর্ষার সময় কেন্দ্রটির সামনে পানি থাকে। এখন পানি শুকিয়ে গেছে। নির্বাচনের বিধিতে বলা আছে, যদি নদী ভাঙনসহ প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগে কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্থ না হয়ে থাকে তাহলে আগের কেন্দ্রই বহাল রাখতে হবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া নিউজ ডেস্ক।। বিডি টাইমস নিউজ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে