বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহি হামিদুর রহমানের ৫০তম শাহাদাতবার্ষিকী ২৮ অক্টোবর। ১৯৭১ সালের এ দিনের ভোরে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের মাধবপুর ইউনিয়নের ধলই সীমান্তে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধে শহীদ হন তিনি।
মুক্তিযুদ্ধে চরম সাহসিকতা আর অসামান্য বীরত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ যে সাতজন বীরকে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সামরিক সম্মান ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়, তার মধ্যে অন্যতম হামিদুর রহমান। শুধু তাই নয়, মাত্র ১৮ বছর বয়সে শহীদ হওয়া হামিদুর রহমান ওই সাতজনের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ।
হামিদুর রহমান ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার খোরদা খালিশপুর গ্রামে ১৯৫৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম আক্কাস আলী মণ্ডল এবং মায়ের নাম মোছা. কায়মুন্নেসা।
সেনাবাহিনীর সিপাহি পদে ১৯৭০ সালে যোগ দেন হামিদুর রহমান। পরের বছরের অক্টোবরে হামিদুর রহমান ১ম ইস্টবেঙ্গলের সি কোম্পানির হয়ে ধলই সীমান্তের ফাঁড়ি দখল অভিযানে অংশ নেন। তার বীরত্বে ওই যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে পাকিস্তানি বাহিনী পরাজিত হয় এবং তাদের ফাঁড়ি দখল করে নেওয়া হয়। তবে এ সংঘর্ষে শহীদ হন তিনি।
তাৎক্ষণিকভাবে তাকে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে সীমান্তের কাছে দাফন করা হয়। পরে ২০০৭ সালের ১০ ডিসেম্বর ভারতের ত্রিপুরা থেকে তার মরদেহ এনে গ্রামের বাড়িতে পুনরায় দাফন করা হয়।
প্রতি বছর ২৮ অক্টোবর কমলগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল, বিজিবি ব্যাটালিয়ন কমান্ডের উদ্যোগে দলই সীমান্তে বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহি হামিদুর রহমানের স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
তথ্যঃ ইটিভি