নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ করতে কঠোর পদক্ষেপ নিতে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ।

তিনি বলেন, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ স্বাধীন। নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ ও অবাধ করতে নির্বাচন কমিশন কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেবেন এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

রোববার (০৩ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে চতুর্থ ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের দলীয় প্রার্থী ঘোষণা উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান ‍জানান হানিফ।

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দেশ্যে মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, দল মতের ঊর্ধ্বে উঠে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী আইনি পদক্ষেপ নেবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা। নির্বাচন বা নির্বাচন পরবর্তী কোনো সহিংসতা আওয়ামী লীগ দেখতে চায় না।

বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সহিংসতার দুঃখ প্রকাশ করে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, আশা করি আগামী নির্বাচনগুলো সুষ্ঠ ও সহিংসতামুক্ত হবে। দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আমাদের কঠোর নির্দেশ হলো, নির্বাচনকে অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ করার জন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা তারা দায়িত্বপূর্ণ কাজ করবেন।

বিএনপির সমালোচনা করে হানিফ বলেন, এ নির্বাচনকে বিতর্কিত করতে একাত্তরের পরাজিত শক্তি, পঁচাত্তরের শক্তি এবং একাত্তরের ঘাতক পরাজিত শক্তির এদেশীয় দোসররা অশুভ চক্রান্তে লিপ্ত আছে। তাদের অশুভ চক্রান্তের অংশ হচ্ছে নির্বাচনকে বিতর্কিত করা। নির্বাচন কমিশনকে বিতর্কিত করা।

তিনি বলেন, বিএনপি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা থাকতে বার বার জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এ নির্বাচনের বিষয়ে তাদের আগ্রহ লক্ষ্য করা যায় না।

বিএনপি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে আন্তরিক নয় মন্তব্য করে হানিফ বলেন, তাদের লক্ষ্য ছিলো নির্বাচন চলাকালে নির্বাচন থেকে দূরে সরে গিয়ে নির্বাচন কমিশনকে বিতর্কিত করা। তারা নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচনকে বিতর্কিত করতেই পরিকল্পিতভাবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে আবার সরে দাঁড়াতে চাইছে।

বিএনপিকে অতীতের ভুল থেকে রাজনৈতিক শিক্ষা নিয়ে সুষ্ঠ ধারার রাজনীতিতে ফিরে আসার আহ্বান জানান তিনি।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজ্জাম্মেল হক, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক বদিউজ্জামান ডাবলু, দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন, উপ-প্রচার সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সুজিত রায় নন্দী, আমিনুল ইসলাম আমিন, এসএম কামাল হোসেন প্রমুখ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে