আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন বৃহস্পতিবার থাইল্যান্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাংলাদেশ সময় ১১.২৫ মিনিটে মারা গেছেন(ইন্নালিল্লিহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন তার ভাতিজা অ্যাডভোকেট আনিস। ৭৭ বছর বয়সী সাহারা খাতুন জ্বর, অ্যালার্জির সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতা নিয়ে গত ৩ জুন রাতে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অত্যন্ত আস্থাভাজন ছিলেন প্রবীণ এই রাজনীতিক। তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় নিজে রাজনৈতিক অপরাধে অভিযুক্ত হয়েছিলেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে গ্রেফতার হয়েছিলেন। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন, ২০০৮ এর নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ঢাকা-১৮ হতে নির্বাচিত হয়েছিলেন। নির্বাচনে বিজয় লাভ করার পর তিনি বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী হিসেবে মনোনীত হন। পরে ২০১২ সালে মন্ত্রণালয়ের রদবদল ঘটলে তিনি বাংলাদেশ সরকার এর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

১৯৪৩ সালের ১ মার্চ ঢাকার কুর্মিটোলায় জন্মগ্রহণ করেন সাহারা খাতুন। তার বাবার নাম আব্দুল আজিজ ও মাতার নাম টুরজান নেসা। সাহারা খাতুন তিন মেয়াদ ধরে ঢাকা-১৮ আসন থেকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত সংসদ সদস্য।

সাহারা খাতুন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে একজন আইনজীবী হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন। আওয়ামী লীগের এই প্রেসিডিয়াম সদস্য বাংলাদেশ আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এছাড়াও তিনি আন্তর্জাতিক মহিলা আইনজীবী সমিতি ও আন্তর্জাতিক মহিলা জোটের সদস্য ছিলেন।

একনজরে সাহারা খাতুন
মারা গেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন। আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় রাত ১১টা ২৫ মিনিটে থাইল্যান্ডের বামুনগ্রাড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

১৯৪৩ সালের ১ মার্চ ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির অন্তর্গত ঢাকার কুর্মিটোলায় জন্ম গ্রহণ করেন তিনি। ইন্টারমেডিয়েট পাশ করার পর তিনি জগন্নাথ কলেজে (বর্তমানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়) বি.এ-তে ভর্ত্তি হন। বি.এ(ফাইনাল) পরীক্ষার সময় অসুস্থ থাকার কারণে এক বিষয় পরীক্ষা দিতে পারেননি। পরে করাচি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজী মাধ্যমে ২য় শ্রেণিতে বি.এ(ডিগ্রি)অর্জন করেন। তারপর সেখান থেকে এসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে ভর্তি হন।

সাহারা খাতুন ছাত্র জীবনেই রাজনীতিতে যুক্ত হন। ১৯৬৯ সনে আওয়ামী লীগের মহিলা শাখা গঠিত হলে তিনি তাতে সক্রিয় অংশ গ্রহণ শুরু করেন। ২০০৮ সনের ২৯ ডিসেম্বরের সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৮ আসন থেকে মনোনয়ন পেয়ে বিপুল ভোটে জয় লাভ করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৯ সালে তাকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর ২০১২ সালে তিনি ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান। ২০১৪ সনের ৫ জানুয়ারীতে তিনি পুনরায় পুনরায় ঢাকা-১৮ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

রাজনৈতিক জীবনে তিনি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, এবং বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক। এছাড়াও তিনি আন্তর্জাতিক মহিলা আইনজীবী সমিতি ও আন্তর্জাতিক মহিলা জোটের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে একজন আইনজীবী হিসেবে প্র্যাকটিস করতেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকালে ২০০৯ সালের সময় বিডিআর বিদ্রোহ শুরু হলে তিনি তৎকালীন বিডিআর’র বিদ্রোহী সৈনিকদের আত্মসমর্পণ করতে উৎসাহীত করেন ও অস্ত্র জমা দিতে বলেন।

নিউজ ডেস্ক ।। বিডি টাইম্‌স নিউজ 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে