টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলে পুর্ব বিরোধের জের ধরে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গত সোমবার রাত ১০টার দিকে ঢাকার একটি ক্লিনিকে চিকিৎসারত অবস্থায় তিনি মারা যান। নিহত যুবকের নাম রমজান আলী। তার পিতার নাম আব্দুর রাজ্জাক। বাড়ি টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের বড়খালি গ্রামে। নিহত রমজান বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ওয়ালটনে কাজ করতেন।এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে নিহতের ভাই শফিকুল ইসলাম বাদি হয়ে ১৩ জনের নামে ও অজ্ঞাতনামা কয়েক জনকে আসামী করে গোপালপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
জানা গেছে, মির্জাপুর ইউনিয়নের বড়খালি গ্রাম ও পাশ্ববর্তী জোত আতাউল্লাহ গ্রামের পুর্ব থেকে বিরোধ ছিল। গত ২৮’ই এপ্রিল বড়খালি গ্রামের রমজান তার বন্ধু আজাদ, অনিক, আলাউদ্দিন ও কবিরকে নিয়ে জোত আতাউল্লাহ গ্রামে যান। সেখান পুর্ববিরোধের জের ধরে ওই গ্রামের কয়েক যুবকের সাথে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে মারপিট শুরু হয়। জোত আতাউল্লাহ গ্রামের কয়েক যুবক সংবদ্ধ হয়ে বড়খালী গ্রামের রমজানসহ চারজনকে বেদম মারপিট করে। এতে রমজান ও চারবন্ধু মারাত্বক আহত হন।
সবাইকে উদ্ধার করে প্রথম গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখান রমজানের অবস্থার অবনতি হলে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পর ঢাকার একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। অবস্থার আরো অবনতি হলে তাকে ওই ক্লিনিকের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়। গত সোমবার রাত ১০টার দিকে সেখানে তার মৃত্যু হয়। পুলিশ রাতেই ঢাকা থেকে লাশ গোপালপুর নিয়ে আসেন।
মঙ্গলবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন।এঘটনায় নিহতের বড় ভাই শফিকুল ইসলাম শাহীন বাদি হয়ে জোত আতাউল্লাহ গ্রামের ১৩ জনের নামে ও অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামী করে গোপালপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।গোপালপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাইয়ুম খান সিদ্দিকী জানান, পুর্ব বিরোধের জের ধরে এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। খুব দ্রুতই তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।
কে এম মিঠু, টাঙ্গাইল
নিউজ ডেস্ক ।। বিডি টাইম্স নিউজ