আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশত্যাগে বাধ্য করার প্রতিবাদে গোপালগঞ্জে বিক্ষোভ সমাবেশকালে সেনা সদস্যদের ওপর হামলা, গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে ১০ বেঙ্গল রেজিমেন্টের লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মাকসুদুল আলম বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ১০৬ জনের নাম উলেখ করে ৩২শ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনিচুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।মামলার বিবরণে জানা যায়, আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে দেশত্যাগে বাধ্য করার প্রতিবাদে ১০ আগস্ট বিকালে ঢাকা-খুলান মহাসড়ক অবরোধ করেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
এছাড়া গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোপীনাথপুর বাসস্ট্যান্ডে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। এতে সড়কের দুই পাশে অসংখ্য গাড়ি আটকা পড়ে। খবর পেয়ে গোপালগঞ্জে কর্তব্যরত সেনাসদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তারা বিক্ষোভকারীদের মহাসড়ক ছেড়ে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করতে বলেন। এ নিয়ে আন্দোলনকারীরা সেনাসদস্যদের সঙ্গে বাগ বিতণ্ডায় জড়ান।
একপর্যায়ে সেনাসদস্যদের ওপর হামলা করেন আন্দোলনকারীরা। এতে সেনাবাহিনীর চার কর্মকর্তাসহ ৯ জন আহত হন। এছাড়া সেনাবাহিনীর দুটি অস্ত্র (রাইফেল) ও ছয়টি ম্যাগাজিন ছিনিয়ে নেওয়া হয়। আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয় একটি গাড়ি। ওইদিন বিকালেই একটি অস্ত্র এবং পরের দিন অপর অস্ত্রসহ তিনটি ম্যাগাজিন উদ্ধার করে সেনাবাহিনী।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনিচুর রহমান বলেন, সেনাবাহিনীর সঙ্গে যে ঘটনা ঘটেছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে একটি মামলা হয়েছে। মামলার তদন্ত শুরু হয়েছে। এখনো কোনো আসামি গ্রেফতার হয়নি।
যুগান্তর