বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শেষ দিন (৫ আগস্ট) আশুলিয়ার বাইপাইলে আন্দোলনকারী জনতাকে পিটিয়ে ও গুলি করে হত্যার অভিযোগে সাবেক দুই সংসদ সদস্যসহ ১১৯ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে।শুক্রবার (১৬ আগস্ট) রাত সাড়ে ১১টার দিকে মামলাটি করেন নিহত আস-সাবুরের প্রতিবেশী চাচাতো ভাই সাহিদ হাসান ওরফে মিঠু।
নিহত আস-সাবুর (১৬) নওগাঁর মহাদেবপুর থানার মহাদেবপুর গ্রামের নায়েদ ওরফে জাকিরের ছেলে। সে আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়নের জামগড়ার শিমুলতলা এলাকায় পরিবারের সঙ্গে থাকত এবং জামগড়া শাহীন স্কুলে ১০ দশম শ্রেণিতে পড়তো।মামলার আসামিরা হলেন: ঢাকা-১৯ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম (৫৫), একই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য টংগাবাড়ি এলাকার মৃত আনোয়ার জংয়ের ছেলে তালুকদার মো. তৌহিদ জং মুরাদ, আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক হাসান তুহিন (৫৪) ও তার বাবা সাভার পৌরসভার মেয়র আব্দুল গনি কুলু, সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী হায়দার (৭০), আশুলিয়া থানা যুবলীগের আহ্বায়ক কবির হোসেন সরকার (৫২), পাথালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পারভেজ দেওয়ান (৬১), আশুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাহাবউদ্দিন মাদবর (৫৮), ইয়ারপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুমন আহমেদ ভূঁইয়াসহ (৫০) ১১৯ জন।
মামলার এজাহার ও বাদী সাহিদ হাসান জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শেষ দিন (৫ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে আস-সাবুর নিজের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনাকাটা করার জন্য তার বাসা শিমুলতলা থেকে বাইপাইলে যায়। এরমধ্যে আন্দোলনকারীরা বাইপাইল মোড়ে অবস্থান নেন। এ সময় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীসহ অজ্ঞাতনামা আরও আসামিরা দেশি ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সেখানে অবস্থান নেয়। একপর্যায়ে সংঘর্ষ শুরু হলে যাকে সামনে পেয়েছে তাকেই এলোপাতাড়ি পিটিয়ে ও গুলিবর্ষণ করে হত্যা করেছে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের সন্ত্রাসীরা।সাহিদ হাসান বলেন, দুপুর ২টার দিকে খবর পাই ভাই আস-সাবুর মৃত অবস্থায় বাইপাইল মোড়ে পড়ে আছে।
এরপর লোকজন নিয়ে গিয়ে দেখি ভাইয়ের ক্ষত-বিক্ষত নিথর দেহ। আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের সন্ত্রাসীরা তাকে পিটিয়ে ও গুলি করে হত্যা করেছে। আসামিদের মারপিট ও গুলি বর্ষণে আমার ভাই আস সাবুর ঘটনাস্থলেই মারা যায়।পরবর্তীতে নিহতের বাবা নায়েদ ছেলেকে উদ্ধার করে গ্রামের বাড়ি নিয়ে মহাদেবপুর বাসস্ট্যান্ড কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন করেন।এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (ওসি) এএফএম সায়েদ বলেন, শুক্রবার রাতে ১১৯ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামরা দায়ের হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে |
অনলাইন নিউজ ডেস্ক