জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষিতে বাসের পর ভাড়া বাড়লো লঞ্চে। সরকারি-বেসরকারি লঞ্চ ভাড়া ৩০ শতাংশ বাড়িয়ে সমন্বয় করা হয়েছে। কম দূরত্বে প্রতি কিলোমিটারে ৭০ পয়সা ও বেশি দূরত্বে ৬০ পয়সা বেড়েছে। একই সঙ্গে নৌযানে সর্বনিম্ন ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৩ টাকা। মঙ্গলবার(১৬’ই আগস্ট) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের টিএ শাখা। উপসচিব মোহা. আমিনুর রহমান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আজ মঙ্গলবার থেকেই নতুন সমন্বয়কৃত ভাড়া কার্যকর হবে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, লঞ্চভাড়া ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ২ টাকা ৩০ পয়সা থেকে বেড়ে ৩টা এবং ১০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বের ক্ষেত্রে ভাড়া ২ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২ টাকা ৬০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। জনপ্রতি সর্বনিম্ন ভাড়া ২৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩৩ টাকা করা হয়েছে। আরও বলা হয়, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন (নৌরুট, পারমিট, সময়সূচি ও ভাড়া নির্ধারণ) বিধিমালা, ২০১৯ এর বিধি ২৭ মোতাবেক সরকার নৌযানে যাত্রী পরিবহনের জন্য কিলোমিটার প্রতি সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন যাত্রী ভাড়া পুনর্নির্ধারণের লক্ষ্যে গঠিত কমিটির সুপারিশের আলোকে বিআইডব্লিউটিএ’র প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে যাত্রীভাড়া পুনর্নির্ধারণ করা হলো।এর আগে, গত ৮ আগস্ট সচিবালয়ে ‘জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে নৌযানের যাত্রী ভাড়া সমন্বয়ের লক্ষ্যে সভা’ হয়।

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বিদেশ সফরে থাকায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সভায় লঞ্চ মালিকসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সেসময় লঞ্চ মালিকদের পক্ষ থেকে ভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়। মালিকপক্ষ থেকে ভাড়া দ্বিগুণ করার প্রস্তাব দিয়ে নৌ-মন্ত্রণালয়ে তারা চিঠি পাঠালে একটি কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়। তবে প্রস্তাব থেকে সরে ৫০ শতাংশ বৃদ্ধির দাবিতে অবস্থান নেয় মালিকপক্ষ। তবে মালিকদের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার পর সবশেষ ৩০ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলো সরকার।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে