কে এম শাহীন রেজা, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি।। কুষ্টিয়া ইসলামিয়া কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য এবং ভুয়া বিল-ভাউচার তৈরি করে কলেজ ফান্ডের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ পেয়ে সেখানে অভিযান পরিচালনা করেন দুদকের কুষ্টিয়া জেলা কার্যালয়ের উপ পরিচালক মো. জাকারিয়া।
সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দুদক টিম ওই কলেজ পরিদর্শন করে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করে। এর মধ্যে কিছু অভিযোগের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে রিট চলমান রয়েছে, যা বর্তমানে আদালতের এখতিয়ারভুক্ত। দুদক টিম থেকে জানানো হয়, কলেজের দোকান বরাদ্দ ও নতুন ভবন নিমার্ণে যথাযথ নীতিমালা অনুসরণ করা হয়েছে কি না তা যাচাইয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করা হয়েছে। এসব বিশ্লেষণ করে দুদক কার্যালয়ে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।
দুদক সূত্রে আরো জানা যায়, কুষ্টিয়ার ঐতিহ্যবাহী ইসলামিয়া কলেজে ২০১০ সাল থেকে অধ্যক্ষের দায়িত্বে আছেন নওয়াব আলী। তার বিরুদ্ধে গুরুতর নানা অভিযোগ উঠেছে। নিয়োগ-বাণিজ্য থেকে শুরু করে ভুয়া বিল-ভাউচারের মাধ্যমে কলেজ ফান্ডের টাকা লুটপাট করে চলেছেন তিনি। শহরের প্রাণকেন্দ্র এনএস রোডে অবস্থিত কলেজের নিজস্ব মার্কেট ও দোকান রয়েছে তিন শতাধিক। সেখান থেকে প্রতি মাসে বিপুল টাকা কলেজের ফান্ডে জমা হয়। সে কারণে এ প্রতিষ্ঠানের ওপর নজর থাকে সবার।
অধ্যক্ষ নওয়াব আলী জালিয়াত হিসেবে প্রমাণিত হয়েও কলেজ পরিচালনা পর্ষদসহ প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করে অধ্যক্ষের পদ আঁকড়ে রেখেছেন তিনি।শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করতে পরিচালনা পর্ষদকে নির্দেশ দিলেও তা করা হয়নি। এসব কারণে গভীর সংকটে পড়তে বসেছে কলেজটি।
কুষ্টিয়া নিউজ ডেস্ক।। বিডি টাইমস নিউজ 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে