জহির সিকদার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সংবাদদাতা।।ব্রাহ্মনবাড়য়ায় রাতের অন্ধকারে কবর থেকে লাশ চুরি করে নিয়ে গেলেন সংঘবদ্ধ চোরেরদল।ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সদর থানাধীন তালশহর পূর্ব ইউনিয়নের পুতাই গ্রামে।

উল্লেখ্য যে, গত বছরের নভেম্বর মাসের ১ তারিখে পুতাই গ্রামের মৃত মোঃ কালা গাজীর ছেলে মূর্শিদ আলম ষ্ট্রোক করে মারা যান। তার জানাযা শেষে পুতাই গ্রামের পঞ্চায়েত কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। দীর্ঘ প্রায় ১০ মাস পর গত শুক্রবার( ২০ আগষ্ট) জুম্মার নামাজের পর গ্রামের কতিপয় লোকজন কবরস্থান জিয়ারত করতে যান। ঐ সময়ে মৃত মূর্শিদ আলমের কবরটি খুড়া দেখতে পান। ঘটনাটি ধীরে ধীরে প্রথমে গ্রামে এবং পরে তা পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন কবরস্থানে গিয়ে কবর খুড়ার বিষয় টি সম্পর্কে নিশ্চিত হন। ঐ সময় কবরের ভিতর মূর্শিদ আলমের কঙ্কাল দেখতে পাইনি তারা। এ বিষয়ে তারা চিন্তায় পড়ে যান এবং আশেপাশের লোকজনদের কাছে বিষয় টি খুলে বলেন।

এ বিষয়ে তালশহর পূর্ব ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জাইদুল কবির কালাম বলেন,বিষয়টি নিঃসন্দেহে দুঃখজনক। এর পূর্বে এই গ্রামে কখনও এ রকম ঘটনা ঘটেনী। এটা নিশ্চয়ই সংঘবদ্ধ কঙ্কাল চোরদের কাজ। তিনি এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি (অপারেশন) কে জানিয়েছেন বলেও জানান। তিনি আরও বলেন,শুধু মূর্শিদ আলমের কঙ্কাল নয়- সংঘবদ্ধ কঙ্কাল চোররা একই কবরস্থান থেকে আরেকটি কঙ্কাল (মৃত জসিমউদ্দীনের কঙ্কাল) নিয়ে যাওয়ার ও চেষ্টা করেন। ঐ কবরটি ও খোড়া রয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, দুটি কবরই খোড়া রয়েছে তবে মূর্শিদ আলমের কঙ্কাল টি তার কবরে নেই। এ বিষয়ে মূর্শিদ আলমের ভাই বলেন,ঘটনাটি হৃদয় বিদারক। রাতের অন্ধকারে কে বা কারা আমার ভাইয়ের কঙ্কালটি চুরি করে নিয়ে গেছে তা আমরা দেখতে পাইনী। তবে মনে হচ্ছে সংঘবদ্ধ কঙ্কাল চোরদের কাজ এটি। আমি এ বিষয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছিগ্রামের মোঃ কাওসার জানান,মূর্শেদ আলম একজন ভাল মানুষ ছিলেন। কারও সঙ্গে কোনরকম শত্রুতা ছিলনা। সংঘবদ্ধ কঙ্কাল চোরদের একটি চক্র রাতের অন্ধকারে মূর্শিদ আলম ভাই এর কঙ্কাল টি চুরি করে নিয়ে যাওয়াটা কে মেনে নিতে পারছিনা। ঘটনাটি প্রশাসনের দৃষ্টি গোচরে রাখার অনুরোধ করে বলেন,আর যেন এ ধরনের পুনরাবৃত্তি না ঘটে।

এ বিষয়ে মূর্শিদ আলমের ছেলে বলেন, গত শুক্রবার বাদ জুম্মা আমরা কিছু গ্রামবাসীর কাছে ঘটনার বিষয়ে জানতে পেরে কবরস্থানে ছুটে যায়। সেখানে গিয়ে আমার বাবার কবরে তার কঙ্কালটি খোঁজে পায়নী আমরা। বাবার কবরটি ছিল ফাঁকা। সংঘবদ্ধ কঙ্কাল চোররা কঙ্কালটিকে অসৎ উদ্দেশ্যে বা বিক্রি করার জন্য চুরি করে নিয়ে গেছে।এ বিষয়ে জানতে চাইলে সদর মডেল থানার ওসি এমরানুল হক বলেন,ঘটনাটি একেবারেই নতুন একটি ঘটনা। এ বিষয়ে প্রশাসন অবগত আছে এবং বিষয় টি সম্পর্কে খোঁজ খবর নিচ্ছি।অপরদিকে এলাকাবাসী ও বিষয় টি সম্পর্কে খোঁজ খবর রাখছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ডেস্ক ।। বিডি টাইমস নিউজ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে