মাসুদ রানা,মেহেরপুর প্রতিনিধি।।মেহেরপুরর পৌর সভার উদ্যোগে তৃতীয় নগর পরিচালনা উন্নয়ন প্রকল্পে দেশে এই প্রথম স্যানিটারি ল্যান্ডফিল ও পয়ঃবর্জ্য পরিশোধনাগারের উদ্বোধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ২ কোটি ৭৩ লাখ টাকা বরাদ্দে নির্মিত স্যানিটারি ল্যান্ড ফিল্ড ও পয়ঃবর্জ্য পরিশোধনাগার উদ্বোধন করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মেহেরপুর পৌর মেয়র ও জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান রিটন । প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম রসুল। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক এডভোকেট মিয়াজান আলী, পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান, উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাড. ইয়ারুল ইসলাম, মেহেরপুর জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি তোজাম্মেল আযম, মেহেরপুর প্রেস ক্লাবের উপদেষ্টা তুহিন অরণ্য, হোটেল বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহিদ ইকবাল শিমন প্রমুখ ।
জেলা যুবলীগের সদস্য সাজাদুর রহমান সাজু সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পৌরসভার সহকারি প্রকৌশলী মহাসিন আলী, প্যানেল মেয়র শাহিনুর রহমান রিটন, কাউন্সিলর আব্দুল্লাহ আল মামুন, নুরুল আশরাফ রাজিব, সৈয়দ বাপ্পি, রিপন, আলপনা খাতুন , ঠিকাদার মাহাবুব আলম সহ পৌর কর্মকর্তা গন ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পৌর মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন বলেন, মেহেরপুরে ময়লা আবর্জনা ও পয়:বর্জ্য থেকে তৈরি হবে জৈব সার। শহর এখন থেকে পরিস্কার থাকবে। কোন সড়কে, এমনকি কারো বাড়ির সামনে কোন ধরণের ময়লা আবর্জনা থাকবেনা। সেই সব ময়লা আবর্জনা পৌরসভার গাড়িতে করে নিয়ে এসে ফেলা হবে ডাম্পিংয়ে। বিশেষ প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে সেই আবজর্নাগুলো পরবর্তিতে জৈব সারে রুপান্তরিত হবে যা এলাকার কৃষি কাজে ভূমিকা রাখবে। একই সঙ্গে পয়:বজ্যর জন্য শোধনাগার করা হয়েছে। সেখানেও এগুলো ফেলা হবে। সেখান থেকেও জৈব সার উৎপাদন হবে।
পৌর মেয়র বলেন, নগর পরিচালন ও অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প (ইউজিআইআইপি-৩) এর অর্থায়নে ৩ একর জমির উপর স্যানিটারি ল্যান্ড ফিল্ড (ডাম্পিং) ও পয়ঃবর্জ্য পরিশোধনাগার নির্মাণ করা হয়েছে। মেহেরপুরের মানুষ পৌরসভার কাছে খেতেও চাইনা, পরতেও চাইনা। তারা চাই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন একটি শহর, একটি সমাজ। তারই আলোকে আজকে আমাদের একটি বড় পাওয়ার দিন।
মেয়র আরো বলেন, এটা বাংলাদেশের অনেক পৌরসভার ভাগ্যে জোটেনি। তবে মেহেরপুর পৌরসভার স্যানিটারি ল্যান্ডফিল্ড ও পয়ঃবর্জ্য পরিশোধনাগার যেটা মেহেরপুর পৌরসভা করতে সক্ষম হয়েছে। আজকে আমরা যেখানে দাঁড়িয়ে আছি সেটা একসময় ভাগাড় ছিল। সেই জায়গা তিলে তিলে আজকে আমরা একটি সুন্দর পরিবেশে গড়তে পেরেছি। বাংলাদেশ সরকারের যেটা চিন্তা ভাবনা সেটা হলো যে জিনিসটাই তৈরি হবে কেন সেটা যেন টেকসই হয়। সেই উদ্যোগে আমরা এই প্রকল্পটি হাতে নিয়ে ছিলাম । আমরা যদি এটা সঠিক ভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারি তাহলে এটা ২০ বছরেও কিছুই হবে না।
মেহেরপুর নিউজ ডেস্ক।। বিডি টাইমস নিউজ