রিমন পালিত,বান্দরবান প্রতিনিধি।।পার্বত্য নৈসর্গিক এলাকা বান্দরবান । যেখানে রয়েছে রূপের মাধুরী কিন্তু লকডাউনের করোনা মহামারীতে পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসরত তরুণ যুব সমাজের মাঝে দেখা দিয়েছে এক পাবজি নামক ইন্টারনেট গেমসের ধ্বংসের ভয়াবহতা। আধুনিক বিশ্বের সাথে খাপ খাওয়াতে হলে ইন্টারনেট কিংবা স্মার্টফোনকে বাদ দেওয়ার কোন উপায় নেই। কিন্তু বর্তমান তরুণ প্রজন্মকে স্মার্টফোন কতটা সুফল এনে দিচ্ছে সেটা ভাবার সময় এসেছে।
বান্দরবানে লেমু জিরি পারা সংলগ্ন রোয়াংছড়ি স্টেশনে উপরে গেলে প্রতিনিয়ত চোখের সামনে পরে রাস্তার পাশে কিছু অনূর্ধ্ব আঠারো বয়সের ছেলে, সবার হাতে এন্ড্রয়েড মোবাইল এবং মোবাইল দিয়ে ইন্টারনেটে আসক্ত সবাই । ওদের মধ্য থেকে শব্দ আসছিল ‘মামা, মার মার। এবার ধর’ আমি শব্দটা শুনে থেমে গেলাম এবং আমার সাথে থাকা বন্ধুকে জিজ্ঞেস করলাম যে, শব্দটা ওদের কাছ থেকে আসলো না? ও বলল, ‘হ্যাঁ, ওখান থেকেই এসেছে, ওরা পাবজি খেলছে।’ আমি কিছুক্ষণ অবাক হয়ে তাকিয়ে ছিলাম। বান্দরবানে এই পাবজি খেলার সংখ্যাটা ষোল কিংবা আঠারো অনূর্ধ্ব বেশিরভাগই। এদের অনেকের পরিবারের আর্থিক অবস্থা খুব শোচনীয়। কারো পরিবারে খাবারই ঠিক মতো জুটে না। অধিকাংশ ছেলেরা অনলাইন ক্লাসের দোহাই দিয়ে স্মার্টফোন কিনেছে। কিংবা কেউ কেউ পরিবারের চোখ ফাঁকি দিয়ে স্মার্টফোন কিনেছে। কিন্তু সবার আসল উদ্দেশ্য পাবজি খেলা।
আজ থেকে ঠিক দশ বছর আগের কথা যদি চিন্তা করি তবে দেখা যাবে তখন স্মার্টফোন এতটা সহজলভ্য ছিল না আর অনলাইনভিত্তিক গেমসও তেমন ছিল না। কিন্তু এখন স্মার্টফোন খুব সহজলভ্য। এমন অবস্থা হয়েছে, সদ্য জন্ম নেওয়া বাচ্চার কান্নাও বন্ধ হচ্ছে মোবাইল দেখে। পরিশেষে বান্দরবানে বসবাসরত সকল সচেতন অভিভাবক, প্রশাসন, সুশীল সমাজ, সকলের কাছে অনুরোধ ইন্টারনেটের ভয়াবহ পাবজি গেম থেকে সন্তানদের ভালোর পথে যাবার পরামর্শ প্রদান করা হোক, যাতে এই গেমস এর কারণে কোনো মা-বাবার কাছ থেকে ঝরে না যায় ফুটফুটে একটি প্রাণ । এটাই সকল বান্দরবানবাসীর আহ্বান।
বান্দরবান নিউজ ডেস্ক ।। বিডি টাইম্স নিউজ