মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে নওগাঁর ধামইরহাটের ৮টি ইউনিয়ন পরিষদে একটি করে কমিউনিটি চার্জার অ্যাম্বুলেন্স সেবা চালু করা হয়েছে।

অবহেলিত উপজেলার গ্রামের দরিদ্র ও অসহায় মানুষরা মাত্র ১শ থেকে ২শ টাকায় এসব অ্যাম্বুলেন্সের সেবা পাবেন। এছাড়া পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয়ে এলাকার স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের মাঝে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিতে ধামইরহাটের প্রতিটি ইউনিয়নে ‘দিপ্তী’ নামের ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরী উদ্বোধন করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপূরে ধামইরহাট উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে কমিউনিটি অ্যাম্বুলেন্স ও ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরী সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জাতীয় সংসদের হুইপ ও স্থানীয় সাংসদ শহীদুজ্জামান সরকার। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হোসেন আহমেদের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ও নওগাঁ স্থানীয় সরকার বিভাগের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক আমিরুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঈন উদ্দীন, ধামইরহাট পৌরসভার মেয়র আমিনুর রহমান প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
Naogaon picture (1),26-05-2016

২০১৫-১৬ অর্থবছরের এলজিএসপি-২ প্রকল্পের অর্থায়নে ধামইরহাটে ৮টি ইউনিয়নে অ্যাম্বুলেন্স ও ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরী সেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। স্থানীয়ভাবে তৈরি একটি ইজিবাইককে (ব্যাটারি চালিত চার্জার) অ্যাম্বুলেন্সে রূপ দেওয়া হয়েছে।নাম দেওয়া হয়েছে “মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা অ্যাম্বুলেন্স”।

ছাদে ঘুর্ণায়মান লাল আলোর বিচ্ছুরণ আর সাইরেন বাজিয়ে গ্রামের কাঁচা-পাকা সড়কে ছুটে চলবে এই অ্যাম্বুলেন্স। এসব অ্যাম্বুলেন্সের চালক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদে কর্মরত গ্রাম পুলিশদের। অ্যাম্বুলেন্সগুলো ইউনিয়ন পরিষদের তত্ত্বাবধানে থাকবে। প্রতিটি অ্যাম্বুলেন্সের গায়ে একটি মোবাইল নাম্বার দেওয়া হয়েছে। মোবাইল নাম্বারে ফোন দিয়ে সেবা পাওয়ার জন্য স্থানীয় লোকজন তাঁদের প্রয়োজনের কথা জানাতে পারবেন।

এছাড়া প্রতিটি ইউনিয়নের জন্য বিতরণ করা হয়েছে একটি করে ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরী। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের একটি স্কুলের অধীনে এই ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরী পরিচালিত হবে। ওই স্কুলের লাইব্রেরীয়ান এই ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরীর তত্ত্বাবধান করবেন। এই লাইব্রেরী সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নে প্রতিটি স্কুল-কলেজ ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে পৌঁছে যাবে।

অ্যাম্বুলেন্স ও ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরীর উদ্যক্তা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসেন আহমেদ জানান, একটি ইজিবাইককে অ্যাম্বুলেন্সে রূপ দিতে ২ লাখ টাকা করে খরচ হয়েছে। ৮টি অ্যাম্বুলেন্সের জন্য খরচ হয়েছে ১৬ লাখ টাকা। অ্যাম্বুলেন্সগুলো ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা তত্ত্বাবধান করবেন। মাত্র ১শ থেকে ২শ টাকায় গ্রামের দরিদ্র মানুষরা অ্যাম্বুলেন্স সেবা পাবেন। আর একটি ইজিবাইককে ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরী হিসেবে রূপ দিতে খরচ হয়েছে ৭১ হাজার টাকা। ৮টি ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরীর জন্য খরচ হয়েছে ৫ লাখ ৬৪ হাজার টাকা। এছাড়া প্রতিটি লাইব্রেরীতে গল্প, উপন্যাস, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সহ বিভিন্ন ধরণের জ্ঞান-বিজ্ঞানের ২৫ হাজার টাকার বই দেওয়া হয়েছে।

খন্দকার রউফ পাভেল
নওগাঁ প্রতিনিধি , বিডি টাইমস নিউজ ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে