মোঃ তানসেন আবেদীনঃ শেখ হাসিনাকে ভারত ১৫ বছর ধরে বাংলাদেশে নিযুক্ত করে রেখেছিল। তাই উৎখাতের পর তিনি সেখানেই চলে গেছেন। আর তাকে উৎখাত মানেই ভারতকে বিতাড়ন করা। একটি জাতীয় দৈনিককে একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ও দলের সহসম্পাদক সোহেল তাজ।
সোহেল তাজ বলেন, জনগণ ব্যাপকভাবে সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার কারণে বিস্ফোরণের প্রক্রিয়া প্রস্তুত হয়। এর চূড়ান্ত বিস্ফোরণ ঘটে জুলাই-আগস্টে ছাত্র গণঅভ্যুত্থানে। ইকো চেম্বার পার্টি আওয়ামী লীগ জনগণের এই মনোভাব বুঝতে পারেনি। ফলে দেশত্যাগ ছাড়া তাদের কোনো উপায় ছিল না।
সোহেল তাজ বলেন, আত্ম উপলব্ধি করে অনুশোচনা খুবই প্রয়োজন। জনবিচ্ছিন্ন আওয়ামী লীগ অনেকটা মাফিয়া কায়দায় রাষ্ট্র ও দল পরিচালনা করেছে। রাষ্ট্রীয় বাহিনীকে ব্যবহার করে দলের সশস্ত্র কর্মী দিয়ে ২ হাজারেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছে। ৬০০এর বেশি মানুষ অন্ধ। হাজার হাজার মানুষ পঙ্গু। দেশের ইতিহাসে এমন নির্মম নিষ্ঠুর ও জঘন্যতম গণহত্যা কখনো হয়নি শেখ হাসিনা স্বৈরশাসকের মাত্রাও পেরিয়ে গেছেন। তিনি নির্বিচারে শিশু হত্যা করেছেন, যুদ্ধেও এত শিশু নিহত হয় না। ক্ষমতা ধরে রাখার এরকম অপচেষ্টা আগে কেউ কখনোই করেনি ।
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে সাবেক এই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কিছু অর্থবহ সংস্কারের পর দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে নির্বাচন হওয়া উচিত। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ কিংবা বাদ দিয়ে নির্বাচন করাটা ঠিক হবে না। আওয়ামী লীগের সংকটকালে দলের দায়িত্ব নিতে বললে কী করবেন সোহেল তাজ? এই প্রশ্নের উত্তরে তার সাফ কথা, বর্তমান প্রেক্ষাপটে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা যখন আত্মোপলব্ধি, আত্মসমালোচনা, অনুশোচনা ও জনগণের কাছে ক্ষমা চাইবে; অপরাধীদের বিচারের আওতায় এনে শাস্তি দেয়া হবে– তখন তিনি বিষয়টি বিবেচনায় নিতে পারেন, তার আগে নয়।