কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার চরসাদিপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান নকল ব্যান্ডরোলযুক্ত নাসির বিড়ি, অসংখ্য জাল ব্যান্ডরোল, ফিল্টারসহ বিড়ি তৈরির বিভিন্ন উপকরণ জব্দ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার কুষ্টিয়া কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট ভেড়ামারা সার্কেল-২ এ অভিযান পরিচালনা করেন।
কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সরকারের মোটা অংকের টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে একটি অসাধু চক্র দীর্ঘদিন ধরে কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্ন স্থানে জাল ব্যান্ডরোল লাগিয়ে অবৈধ বিড়ি উৎপাদন করে আসছে। এই উৎপাদিত অবৈধ বিড়ি দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ ও বিক্রি করছে চক্রটি। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃস্পতিবার কুষ্টিয়া কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট ভেড়ামারা সার্কেল-২ এর কাস্টমস কর্মকর্তা অপু বনিকের নেতৃত্বে একটি চৌকস টিম দৌলতপুর উপজেলার চরসাদিপুর গ্রামের রিন্টু (৫৫) এর বাড়িতে অভিযান ও তল্লাশি চালায়। এসময় ওই বাড়ি থেকে দুই বস্তায় সত্তর হাজার (৭০,০০০) শলাকা নকল ব্যান্ডরোলযুক্ত নাসির বিড়ি জব্দ করা হয়। এছাড়া বিপুল পরিমান জাল ব্যান্ডরোল, ফিল্টারসহ বিপুল পরিমান নকল বিড়ি তৈরির বিভিন্ন উপকরণ জব্দ করা হয়েছে। অভিযানের খবর পেয়ে অভিযুক্তরা নকল বিড়ি ও বিড়ি তৈরি উপকরণ রেখে দ্রুত পালিয়ে যায়। তবে এলাকার লোকজন অভিযান বাধাগ্রস্থ করতে একত্রিত হলে কাষ্টমস কর্মকর্তারা দ্রুত অভিযানস্থল ত্যাগ করেন। অভিযান শেষে জব্দকৃত নকল নাসির বিড়ি ও বিড়ি তৈরির বিভিন্ন উপকরন কাস্টমস হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
অভিযান পরিচালনাকারী কাস্টমস কর্মকর্তা অপু বনিক জানান, দৈনিক বিপুল পরিমান টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে একটি চক্র নকল বিড়ি তৈরি করে তাদের ব্যবসা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। অভিযানে বিপুল পরিমান জাল ব্যান্ডরোলযুক্ত বিড়ি জব্দ করা হয়েছে। রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে কেউ অবৈধভাবে বিড়ি উৎপাদন, বিক্রি ও বাজারজাত করলে তার বিরুদ্ধে আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।