প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে প্রধানতম চ্যালেঞ্জ হলো দেশের শিল্প খাতসহ অর্থনীতির অন্যান্য খাতে যে ধরনের জনশক্তি প্রয়োজন, সেই প্রয়োজনানুযায়ী জনশক্তি তৈরি করতে পারছে না আমাদের বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা। অর্থাৎ অর্থনীতিতে যেসব খাতে জনশক্তির চাহিদা বেশি, সেসব খাতে জনশক্তি তৈরি হচ্ছে না।

আর বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যেসব গ্র্যাজুয়েট তৈরি করছে, তারা দেশের প্রধান অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পরিবর্তে শিক্ষকতা, ব্যাংক খাতসহ বিভিন্ন পেশাগত কাজে যুক্ত হওয়ার বিষয়ে বেশি আগ্রহী। ফলে রফতানিতে যে ম্যানুফ্যাকচারিং খাত সবচেয়ে বেশি অবদান রাখছে, সেখানে মধ্যম সারির ব্যবস্থাপক (মিড লেভেল ম্যানেজমেন্ট) আনা লাগছে দেশের বাইরে থেকে। তাদের বেতন-ভাতাও অনেক বেশি। আগামী দিনে আট শতাংশের ওপরে প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হলে শিল্প খাতের উপযোগী জনশক্তি তৈরির বিকল্প নেই বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টগুলোর (এসডিজি) মধ্যে অষ্টম অভীষ্ট হলো ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং শোভন কর্মের নিশ্চয়তা বিধান’। ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে এসডিজি গ্রহণ করা হয়। এরই মধ্যে অতিবাহিত হয়েছে দুই বছর। বাংলাদেশ এ অভীষ্ট অর্জনে কেমন অবস্থানে রয়েছে সে বিষয়ে একটি অগ্রগতি প্রতিবেদন প্রস্তুত করেছে পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি)। গত মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এ প্রতিবেদন হস্তান্তর করা হয়।

প্রতিবেদনে শোভন কর্ম ও উচ্চ প্রবৃদ্ধি ধরে রাখার ক্ষেত্রে বেশকিছু চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম অনানুষ্ঠানিক কাজের সংখ্যা না বাড়া। বর্তমানে দেশে যে কর্মসংস্থান বিদ্যমান রয়েছে, তার ৮৫ শতাংশই অনানুষ্ঠানিক খাতে। বিশেষ করে যুবসমাজের মধ্যে অনানুষ্ঠানিক কাজের হার এখনও অনেক বেশি।

প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে প্রধানতম চ্যালেঞ্জ হলো দেশের শিল্প খাতসহ অর্থনীতির অন্যান্য খাতে যে ধরনের জনশক্তি প্রয়োজন, সেই প্রয়োজনানুযায়ী জনশক্তি তৈরি করতে পারছে না আমাদের বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা। অর্থাৎ অর্থনীতিতে যেসব খাতে জনশক্তির চাহিদা বেশি, সেসব খাতে জনশক্তি তৈরি হচ্ছে না। আর বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যেসব গ্র্যাজুয়েট তৈরি করছে, তারা দেশের প্রধান অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পরিবর্তে শিক্ষকতা, ব্যাংক খাতসহ বিভিন্ন পেশাগত কাজে যুক্ত হওয়ার বিষয়ে বেশি আগ্রহী। ফলে রফতানিতে যে ম্যানুফ্যাকচারিং খাত সবচেয়ে বেশি অবদান রাখছে, সেখানে মধ্যম সারির ব্যবস্থাপক (মিড লেভেল ম্যানেজমেন্ট) আনা লাগছে দেশের বাইরে থেকে। তাদের বেতন-ভাতাও অনেক বেশি।

আগামী দিনে আট শতাংশের ওপরে প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হলে শিল্প খাতের উপযোগী জনশক্তি তৈরির বিকল্প নেই বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে জিইডি সদস্য (জ্যেষ্ঠ সচিব) ড. শামসুল আলম বলেন, উচ্চ প্রবৃদ্ধির জন্য ম্যানুফ্যাকচারিং খাতকেই বড় ভূমিকা রাখতে হবে। এ খাতে প্রবৃদ্ধি দরকার হবে ১২ থেকে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত। যদিও এ খাতে বর্তমানে ১২ শতাংশের কাছাকাছি প্রবৃদ্ধি অর্জন হয়েছে। এ প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে হলে খাতটির জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষ জনশক্তি তৈরির বিকল্প নেই। সে জন্য আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে অর্থনীতির প্রয়োজন অনুযায়ী সাজাতে হবে। প্রতি বছর শ্রমবাজারে যুক্ত হওয়া জনশক্তিকে কাজে লাগিয়ে প্রবৃদ্ধি বাড়াতে হলে এর বিকল্প নেই।

নিউজ ডেস্ক ।। বিডি টাইম্‌স নিউজ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে