যশোর, নিজস্ব প্রতিবেদক।। ২০ লাখ টাকা চাঁদাদাবির মামলায় আলী মাহমুদ মিয়া ওরফে চুন্নুকে অভিযুক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে যশোরের সিআইডি পুলিশ। মামলার তদন্ত শেষে আদালতে এ প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই অনুপ কুমার দাস। অভিযুক্ত চুন্নু যশোর শহরের পুরাতনকসবা টালিখোলার মিরাজুল ইসলাম টুলুর বাড়ির ভাড়াটিয়া।

মামলার অভিযোগে জানা গেছে, যশোর শহরের পুরতানকসবা মৌজার ৪১১৬ দাগের ০.৮২৫ শতক জমিসহ ফ্লাট ক্রয় করেন সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম দইচ। ফ্লাটের দখল বুঝে দেয়ার পর তিনি সংষ্কার কাজ করছেন মিস্ত্রী দিয়ে।এ সময় চুন্নু ও তার লোকজন শহিদুল ইসলামের কাছে ১০ লাখ টাকা দাবি ও জিম্মি করে ৫০ হাজার টাকা চাদা নিয়ে আসে। এ ঘটনায় দইচ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয় চুন্নু ও তার লোকজন।
২০২২ সালের ১৯ ডিসেম্বর দুপুরে জুডিসিয়াল আদালত ভবনের উত্তরপাশে আসামি চুন্নু ও তার লোজনের সাথে দেখা হয়। চাঁদার টাকা না দিয়ে মামলা করায় চুন্নু ক্ষিপ্ত হয়ে সাংবাদিক দইচের কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে ১৫ দিন সময় দিয়ে চলে যায়। ২৪ ডিসেম্বর সাংবাদিক দইচের বাড়ির সামনে যেয়ে চুন্নু ও তার লোকজন চাঁদার টাকা দাবি করে গালিগালাজ করতে থাকে। এ সময় দইচ বাইরে আসলে আসামিরা মামলা তুলে না নেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে মারপিট করতে যায়। চিৎকার দিলে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে চাঁদার টাকা না দিলে চুন্নু তার লোকজন খুন-জখম করে তার লাশ গুম করে দিবে বলে হুমকি দিয়ে চলে যায়। এ ঘটনায় শহিদুল ইসলাম দইচ আদালতে মামলা করলে সিআইডি পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেয়। এ মামলার দীর্ঘ তদন্ত শেষে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় আসামি চন্নুকে অভিযুক্ত করে আদালতে এ প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে