জাকারিয়া সোহাগ,রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদদাতা।। ১ম ও ২য় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে ৫% আদিবাসী কোটা পুনর্বহাল ও পূর্ণবাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন করেছে “আদিবাসী কোটা রক্ষা কমিটি।” এর আগে একই দাবিতে গত ৭ই এপ্রিল মানববন্ধন করে ‘আদিবাসী ছাত্র পরিষদ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কমিটি’ নামে একটি সংগঠন।
মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) সকাল ১০ টায় ঢাকা – রাজশাহী মহাসড়ক সংলগ্ন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) প্রধান ফটকের সামনে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।উক্ত মানববন্ধনে আদিবাসী কোটা রক্ষা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ধনেশ টুডুর সঞ্চালনায় আদিবাসী স্টুডেন্টস এ্যাসোসিয়েশন অব রাজশাহী ইউনিভার্সিটি ( আসারু) এর সভাপতি সিলভেস্টার রুবেল মুর্মু বলেন,” আমরা সব সময় শুনে থাকি অধিকার কেউ কাউকে দেয় না আদায় করে নিতে হয়। তাই যদি হয় আদিবাসীদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করার কারণ ও কি তাই ? যখন আমরা স্বাধীন দেশে বসবাস করি, স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করছি, সেখানে সহজ সরল ও পিছিয়ে পড়া আদিবাসীদের কেন সংগ্রাম করে অধিকার আদায় করতে হবে? “
আদিবাসী কোটা রক্ষা কমিটির যুগ্ম – আহ্বায়ক ধনেশ টুডু বলেন, ” ইতিহাস পর্যালোচনা করলে যানা যায়, ভারতীয় উপমহাদেশে কোটার প্রচলন প্রথম শুরু হয় ১৯১৮ সালে।সিভিল সার্ভিসে ব্রিটিশদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকতে না পারায় ভারতীয়দের জন্য আলাদা কোটার ব্যাস্থা করা হয়। পরবর্তী সময়ে শিক্ষায় অনগ্রসর মুসলিমদের জন্যও আলাদা কোটা রাখা হয় যাতে হিন্দুদের সাথে উন্নয়নের ধারা ধরে রাখতে পারে। ঠিক তেমনি বাংলাদেশেও ১৯৮৫ সালে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে তুলে আনার জন্য ৫% কোটা রাখা হয়।”
পরিশেষে, আদিবাসী কোটা রক্ষা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আগষ্টিন মূর্মু বহির্বিশ্বের দেশগুলোতে সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে আদিবাসী কোটা ব্যবস্থা তুলে ধরেন এবং তিনি দাবি করেন – বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী আদিবাসী কোটা একটি সাংবিধানিক ন্যায্য অধিকার।তিনি আরও বলেন, “আদিবাসী কোটা বাতিলের পর প্রধানমন্ত্রী তাদের আশ্বাস দিলেও দীর্ঘ চার বছর পরও তা বাস্তবায়ন করা হয়নি।”
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় নিউজ ডেস্ক।। বিডি টাইম্স নিউজ