পাকিস্তানের অত্যাচার, নিপীড়ন আর নির্যাতনের বিরুদ্ধে একাত্তরের রক্তঝরা মার্চ বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামে বাক বদলের মাস। এ মাসেই পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বাঙালি ছাত্র-জনতা সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলে। ৭ই মার্চ বাঙালিকে মুক্তি সংগ্রামে ঝাপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান বঙ্গবন্ধু। এরপর ২৫শে মার্চ রাতে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন শেখ মুজিব। শুরু হয় সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ।

১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তান ভাগের পর থেকেই পশ্চিম পাকিস্তানের বঞ্চানার শিকার হয় পূর্ব-পাকিস্তানের বাঙালিরা। এ প্রেক্ষাপটেই বায়ান্নোর ভাষা আন্দোলন, বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলন, ছেষট্টির ছয় দফা আন্দোলন ও ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান ছিল জাতিসত্তার স্বরূপ অন্বেষার এক একটি মাইলফলক।সত্তরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকেরা ক্ষমতা হস্তান্তরে টালবাহানা শুরু করে। ১৯৭১ সালের ১ মার্চ সামরিক শাসক জেনারেল ইয়াহিয়া খান ৩ মার্চের গণপরিষদের নির্ধারিত অধিবেশন স্থগিত করেন। প্রতিবাদে গর্জে ওঠে পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ। বঙ্গবন্ধুর কাছে কর্মসূচি চায় ছাত্র-জনতা। স্লোগান তোলে ‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধর, বাংলাদেশ স্বাধীন কর।উত্তাল একাত্তরে মার্চের শুরুর দিনগুলোতে বাঙালির চোখে শুধু স্বাধীনতার স্বপ্ন। ৭ই মার্চ রেসকোর্সে সে স্বপ্ন সফল করার রূপরেখা দেন জাতির অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমান।

২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি সেনারা নিরস্ত্র বাঙালির ওপর আক্রমণ চালিয়ে ইতিহাসের জঘন্যতম গণহত্যা শুরু করে। সে রাতে গ্রেপ্তার হওয়ার আগেই স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে যান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব। যা ইপিআরের ওয়ারলেসের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। শুরু হয় সশস্ত্র সংগ্রাম। নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ প্রাণের বিনিময়ে স্বাধীন হয় বাংলাদেশ।

ডেস্ক রিপোর্ট, বিডি টাইম্‌স নিউজ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে