অবৈধ শ্রমিকদের বৈধ হওয়ার পাঁচ দিন বাকি থাকলেও রেজিস্ট্রেশনের আর মাত্র তিন কর্মদিবস বাকি। মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত সব অবৈধ অভিবাসীদের বৈধভাবে কাজ করার সুযোগ দেবার লক্ষ্যে মালয়েশিয়ার সরকার ২০১৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু করে রিহায়ারিং প্রোগ্রাম। রিহায়ারিং প্রোগ্রামে নিবন্ধন করার শেষ সময় আগামী ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে যারা রিহায়ারিং প্রোগ্রামে নিবন্ধন করে বৈধ না হবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে যাবে মালয়েশিয়ান সরকার।
সূত্রে জানা গেছে, ১ জানুয়ারি ২০১৮ সালের মধ্যরাত থেকে বড় ধরণের সাঁড়াশি অভিযান শুরু করবে মালয়েশিয়ান ইমিগ্রেশন পুলিশ। যার সর্বোচ্চ শাস্তি অভিবাসন আইন অনুযায়ী মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন অ্যাক্ট ১৯৫৯/৬৩-এর ধারা ৫৫-বি এর অধীন সর্বোচ্চ ৫০ হাজার হাজার রিঙ্গিত জরিমানা বা ১২ মাসের পর্যন্ত জেল অথবা উভয়ই দণ্ডে দণ্ডিত দেওয়ার বিধান রয়েছে। এদিকে, অবৈধ প্রবাসীদের বৈধ হওয়ার নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হতে আর মাত্র ক`দিন বাকি থাকলেও বেশকিছু এজেন্টের কারণে দুঃচিন্তায় পড়েছে বাংলাদেশি শ্রমিকরা।
গতকাল বাংলাদেশ হাইকমিশনের নতুন অফিসে এ প্রতিবেদকের সঙ্গে শাহআলম থেকে পোসপোর্ট নিতে আসা মোস্তফা ইমরান নামে একজন অভিযোগ করেন তারা রিহিয়ারিংয়ের জন্য একই কোম্পানির ৮/১০ জন যে ব্যক্তির কাছে টাকা দিয়েছে তার কোনো খোঁজ নাই। মোবাইলে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন না। সেদ্দাং থেকে আসা মাসুদ নামে এক প্রবাসী ও তার কোম্পানির কয়েকজন এই প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন। যেটা বর্তমানে মালয়েশিয়াতে নিত্যনৈমত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম কাউন্সিলর সায়েদুল ইসলাম মুকুল বলেন, যদি কোনো ব্যক্তি প্রতারণার শিকার হয়ে থাকে তাহলে তাকে অবশ্যই সঠিক তথ্যসহ অভিযোগ করতে হবে। আমরা তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেব।
সম্প্রতি অবৈধদের বৈধতা সংক্রান্ত বিষয়ে মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনার মুহ. শহীদুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে বলেন, গত ফেব্রুয়ারি থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত ই-কার্ডের (এনফোর্সমেন্ট) মাধ্যমে ৯২ হাজার ৭৯১ জন অবৈধ বাংলাদেশি শ্রমিক নিবন্ধিত হয়েছেন এবং ই-কার্ড পেয়েছেন। যা অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি। এ ছাড়া ই-কার্ড নিবন্ধনের সময়সীমা ৩০ জুন শেষ হলেও রিহায়ারিং প্রক্রিয়া চালু রয়েছে। যার আর মাত্র তিন কর্মদিবস বাকি রয়েছে। এ প্রক্রিয়া চলবে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত । এ প্রক্রিয়ায় এ পর্যন্ত প্রায় তিন লাখ বাংলাদেশি অবৈধ শ্রমিক নিবন্ধন করেছেন। যারা এখনও নিবন্ধন করেননি তাদের দ্রুত মাই-ইজি, বুক্তিমেঘা ও ইমান এই তিনটি কোম্পানির মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
অনলাইন ডেস্ক, বিডি টাইম্স নিউজ