আজকের শিশুই আগামীর ভবিষ্যৎ। শিশু শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা সরকারের সাংবিধানিক দায়িত্ব। কিন্তু রংপুরের চরাঞ্চলগুলোর ৬০ শতাংশ শিশুই বঞ্চিত আধুনিক শিক্ষার আলো থেকে। এর মধ্যে ২০ ভাগ ঝরে পড়ছে প্রাথমিক স্তরে।
একই সাথে তাদের স্বাস্থ্য সেবায় চোখে মেলেনা তেমন কোনো উদ্যোগ। নাগরিক সমাজ বলছে, মুলধারার সব সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত চরের শিশুরা। যদিও জেলা প্রশাসন বলছে, এসব অঞ্চলের শিশুদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবায় কাজ করছেন তারা। আলাল চর চৌধুরী পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বালুময় পথ মাড়িয়ে সারিবদ্ধ ভাবে হেঁটে চলা। প্রাথমিক স্তরেই শিক্ষা নিতে তাদের পাড়ি দিতে হয় নানা চড়াই উৎরাই। শুষ্ক মৌসুমে বালুময় প্রান্তর আর বর্ষায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকা তাদের একমাত্র অবলম্বন। গঙ্গাচড়া উপজেলার তিস্তা তীরবর্তী ৩টি বড় চর নিলারপাড়া, আরাজিচর আর আলালের চর। যেখানে বসবাস প্রায় ৪ হাজার শিশুর। আর এই তিনটি চরের শিশুদের জন্য মাত্র একটি সরকারি প্রাইমারি বিদ্যালয়। নেই এনজিও পরিচালিত কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও। অন্যদিকে সরকারি বেসরকারি কোন স্বাস্থ্য সেবার সুযোগ না থাকায় এখানকার অধিকাংশ শিশুই বেড়ে উঠছে পুষ্টিহীন হয়ে। সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের মতে, দারিদ্রতা, অশিক্ষা আর দূর্গম যোগাযোগ ব্যবস্থাই চরাঞ্চলের শিশুদের উন্নয়নে প্রধান বাধা। তাদের মতে, সুবিধাবঞ্চিত এসব শিশুদের মূল ধারায় ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব সরকারের।
যদিও জেলা প্রশাসনের এই কর্মকর্তার দাবি, চরাঞ্চলের শিশুদের শিক্ষাসহ সার্বিক সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে তারা কাজ করছেন। শিক্ষাবিদদের মতে চরাঞ্চলের শিশুদের শিক্ষসহ শারিরিক মানসিক ও সাংস্কৃতিক পরিবেশ নিশ্চিত করা গেলে তারাই এ সময় হয়ে উঠবে সুশিক্ষিত জাতি নির্মাণের অন্যতম কারিগর।
নিউজ ডেস্ক, বিডি টাইমস নিউজ