খাদ্যে ভেজাল মিশ্রিতকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। রোববার সকালে রাজধানীর মতিঝিলে এফবিসিসিআই এর উদ্যোগে আয়োজিত ‘পবিত্র রমজান মাসে ভেজালমুক্ত পথ খাবার’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি।

ভেজাল খাবারের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর থেকে কঠোরতর ব্যবস্থা নেবে জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী দুই-এক বছরের মধ্যেই বাজারে কোনো ভেজালযুক্ত খাবার থাকবে না। খাদ্যে ভেজাল নিয়ন্ত্রণে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের মধ্যে যদি গণসচেতনতা না আসে তাহলে সরকার যতোই আইন করুক না কেন, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না।

ভেজাল খাদ্য নিয়ন্ত্রণে সবকিছুর পেছনে ব্যবসায়ীদের সদিচ্ছার প্রয়োজন বলেও মনে করেন কামরুল। ভেজাল খাদ্য নিয়ন্ত্রণে ইতোমধ্যে ২০০ ইনস্পেক্টরকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে কামরুল ইসলাম বলেন, আপনাদের উৎপাদিত পণ্য নিয়ে বিক্রেতারা ইফতারসহ অন্যান্য খাদ্যের পসরা নিয়ে বসেন। আপনারা উদ্যোগী ও কঠোর হলে, আমি বিশ্বাস করি মানুষকে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা সম্ভব। তিনি আরও বলেন, ভোক্তারা সচেতন হলে সরকার আইন প্রয়োগ করে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা সহজ হবে। নিরপাদ খাদ্য আইন শিগগিরই প্রয়োগ শুরু হবে বলে জানান খাদ্যমন্ত্রী।

এফবিসিসিআই’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাসিনা নেওয়াজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোস্তাক হাসান মো. ইফতেখার, এফবিসিসিআই’র পরিচালক হারুন অর রশীদ প্রমুখ। অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, এফবিসিসিইয়ের এ উদ্যোগ অসাধু ব্যবসায়ীদের ওপর এক ধরনের আঘাত আনবে। আমাদের দাবি থাকবে, অপনারা যেমন সাধু ব্যবসায়ীদের মূল্যায়ন করবেন, অপরদিকে অসাধু ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেবেন। ভেজাল রাতারাতি বন্ধ করা সম্ভব নয়। এজন্য সরকারের উদ্যোগের পাশাপাশি জন সচেতনতাও দরকার।

রমজান উপলক্ষে বৈঠকে পথ খাবার বিক্রেতাদের মধ্যে ক্যাপ, হাত গ্লোভস, গামছা বিতরণ করা হয়।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে