আসাদুজ্জামান সর্দারঃ সাতক্ষীরায় নাগরিক সমাজের অংশগ্রহণে যক্ষ্মা রোগীদের অধিকার, জেন্ডার বৈষম্য দূরীকরণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক যক্ষ্মা পরিষেবা শীর্ষক অ্যাডভোকেসি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার সকাল ১১ টায় সিএসসিএস ও সম্প্রীতি এইড ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে সাতক্ষীরা শহরের অদূরে একটি কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় সম্প্রীতি এইড ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সভারঞ্জন শিকদারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন অফিসের রোগ নিয়ন্ত্রক মেডিকেল অফিসার ডাঃ জয়ন্ত সরকার। এ্যাডভোকেসি অফিসার দিপা রাণীর পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্র্যাকের জেলা ম্যানেজার সোহেল রানা, স্বদেশের পরিচালক মাধব চন্দ্র দত্ত, হেডের নির্বাহী পরিচালক লুইস রানা গাইন, সুশিলনের উপ পরিচালক মনিরুজ্জামান, ডিবিসির এম বেলাল হোসেন, কামরুজ্জামান প্রমুখ। এতে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, সাংবাদিক, শিক্ষক, চিকিৎসক, সহ সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। ভিজুয়াল প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন মেডিকেল অফিসার ডাঃ ইসমত জাহান সুমনা।
বক্তারা বলেন, গত আগস্ট মাসে জেলায় ৩৬৭ জন যক্ষ্মা আক্রান্ত হয়েছে। যার মধ্যে ১৫ জন শিশু রয়েছে। এটা আমাদের জন্য চিন্তার বিষয়। তারপরও যারা আক্রান্ত হয়েছে এতে তাদের দোষ নেই। আমাদের বিভিন্ন পারিপার্শ্বিক কারণে এই রোগ হয়ে থাকে। এই রোগ থেকে দ্রুত সুস্থ হতে এবং মুক্ত থাকতে আমাদের সচেতন হতে হবে। এছাড়া পরিবার পাশে থাকলে যক্ষাকরাতে রোগী দ্রুত সুস্থ হবে। এটি কোন মরণঘাতী রোগ নয় নিয়ম মেনে চিকিৎসা নিলে এটি সুস্থ হওয়া যায়। আমাদের ভ্রান্ত ধারনা থেকে যক্ষ্মা রোগীদের সাথে বৈষম্য মূলক আচারন করি। যা কাম্য নই। যক্ষ্মা রোগ কিন্তু ছোয়াছে রোগ না। একটি শুধু মাত্র হ্যাঁচি এবং কাশির মাধ্যমে ছড়াই। যক্ষ্মার অনেক প্রকার রয়েছে সে গুলো কিন্তু হ্যাঁচি বা কাশির মাধ্যমে ছাড়ায় না। যক্ষ্মা রোগ হলে স্বামী-স্ত্রী একসাথে থাকতেও কোন বাধা নেই। শুধু মাত্র চিকিৎসা গ্রহণকালিন সময়টাতে সর্তক থাকতে হবে। সুতরাং একজন যক্ষ্মা রোগীর সকল ধরনের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। আর এ জন্য সকলকে সচেতন থাকতে হবে।
সাতক্ষীরা নিউজ ডেস্ক।। বিডি টাইমস নিউজ