অরিত্রি অধিকারী নামে একটি ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে কারণ পরীক্ষা দিতে গিয়ে নিজের মোবাইল ফোন থেকে কিছু টুকেছিল বলে স্কুলের প্রিন্সিপাল তাকে পরীক্ষা দিতে দেননি, স্কুল থেকেও তাড়িয়ে দেবেন বলে দিয়েছিলেন। অরিত্রির বাবা-মা স্কুলের প্রিন্সিপালকে অনেক অনুরোধ করেও সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করাতে পারেন নি । ক্ষমা চেয়েও ক্ষমা পাননি। অরিত্রি ক্ষোভে যন্ত্রণায় লজ্জায় অপমানে আত্মহত্যা করেছে। এ কোনও নতুন ঘটনা নয়। টিচারদের কারণে স্কুল থেকে ফিরে অনেক ছাত্র ছাত্রীই আত্মহত্যা করে।
আমাদের সময় টিচাররা শরীরে মারতেন। আজকাল টিচাররা মারেন মনে। দুটোই কিন্তু মার। কোনওটির যন্ত্রণা কিন্তু কোনওটি থেকে কম নয়। তাঁরা আসলে পড়াতে জানেন না বলেই মারেন। সভ্য পৃথিবীর কাছ থেকে আমরা কত কিছুই শিখছি। কী করে পড়াতে হয় এটা শিখছি না কেন? সভ্য দেশগুলোয় বিশেষ করে উত্তর ইউরোপ বা উত্তর আমেরিকায় গিয়ে তো বাংলাদেশের টিচাররা শিখে আসতে পারেন কী করে পড়াতে হয়। অথবা ওখান থেকে টিচার হায়ার করে আনতে পারেন শেখানোর জন্য।
স্কুল কলেজে টিচারের চাকরি করা, আর ছাত্র ছাত্রীদের শিক্ষিত করা দুটো আলাদা জিনিস। কাউকে শিক্ষিত করতে হলে নিজে শিক্ষিত হতে হয়। যেটি আমাদের স্কুল কলেজের অধিকাংশ টিচারই নন।
তসলিমা নাসরিনের ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে নেয়া,
নিউজ ডেস্ক ।। বিডি টাইম্স নিউজ