সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা তার নতুন বইয়ে সরকারের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করেছেন সেসব মনগড়া কথা বলে নাকচ করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। এ বক্তব্য সত্যি হলে তা তিনি দেশে থাকায় অবস্থায় কেন তোলেননি সে প্রশ্নও তার। সকালে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে সংবিধান সংশোধন করে বিচারপতিদের অভিসংশনের ক্ষমতা সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের পরিবর্তে পার্লামেন্টের সদস্যদের দেয়ার পর ২০১৬য় ওই সংশোধনীকে অসাংবিধানিক বলে রায় দেয় হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ। আর এতেই প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় সরকারের।
ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর, ৪০০ পৃষ্ঠার পর্যবেক্ষণ নিয়ে নিয়ে শুরু হয় ব্যাপক বিতর্ক। ২০১৭ সালের ১৪ অক্টোবর দেশ ছাড়েন প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, অসুস্থ হওয়ায় চিকিৎসা নিতে বিদেশ যাচ্ছেন তিনি। তবে, সে অভিযোগ অস্বীকার করেন এস কে সিনহা।
সম্প্রতি প্রকাশিত ‘এ ব্রোকেন ড্রিম: রুল অব ল, হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ডেমোক্রেসি’ নামের বইয়ে এস কে সিন্হার দাবি করেছেন, চাপের মুখে দেশ ছেড়েছেন তিনি, বাধ্য হয়েছেন বিদেশ থেকে পদত্যাগপত্র পাঠাতে।
তবে এ অভিযোগ নাকচ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলছেন, অন্তর্জ্বালা থেকেই নিজ বইয়ে মনগড়া কথা লিখেছেন সাবেক প্রধান বিচারপতি।
এছাড়া, সাবেক প্রধান বিচারপতির কোন বক্তব্যে আওয়ামী লীগ অহেতুক কোন মন্তব্য করবে না বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।
পদত্যাগের পর বিচারপতি সিনহার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অর্থ পাচার, আর্থিক অনিয়ম ও নৈতিক স্খলনসহ সুনির্দিষ্ট ১১টি অভিযোগ ওঠার কথা জানানো হয় সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে। বলা হয়, ওইসব অভিযোগের কারণে আপিল বিভাগের অন্য বিচারকরা আর প্রধান বিচারপতির সঙ্গে বসে মামলা নিষ্পত্তিতে রাজি নন।