রাজধানীর জাতীয় ঢাকেশ্বরী মন্দির সংলগ্ন আব্দুল আলিম ঈদগাহ মাঠে (বালুর মাঠ) বিনানুমতিতে সপ্তাহে প্রতি বুধবার মিলছে হরেকরকম দোকানিদের মেলা, দোকানিদের কাছ থেকে বলপূর্বক আদায় করা হচ্ছে মোটা অংকের টাকা। গত বুধবার( ২৩ অক্টোবর ২০২৪ইং) আব্দুল আলিম ঈদগাহ মাঠে মেলা চলাকালীন সময়ে, সেনাবাহিনীর একটি টিম অভিযান পরিচালনা কালে সেনাবাহিনী কর্তৃক সংগৃহীত চাঁদার ৩২ হাজার টাকা ও উপযুক্ত প্রমাণ সহ গ্রেফতার হয়েছেন মোঃ আজিজুর রহমান।

সেনাবাহিনীর জিজ্ঞেসাবাদের এক পর্যায়ে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য, চাঁদা সংগ্রহের নেপথ্যে রয়েছে লালবাগ থানাধীন ২৬নংওয়ার্ড যুবদল নেতা মোঃ আরিফুর রহমান জানে আলম, মোঃ ইকবাল হোসেন ও মোঃ শাহাবুদ্দিন সিকদারের সম্পৃক্ততা। সেনা কর্তৃক হাতেনাতে গ্রেফতারকৃত আজিজুরের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে, এস আই(নিঃ) মোঃ শওকত হোসেন উক্ত চার ব্যক্তিকে আলিম ঈদগাহ মাঠের মেলা হতে বলপূর্বক চাঁদা আদায়ের দায়ে চকবাজার মডেল থানায় ৩৮৫/৩৮৬ ধারায় একটি এজাহারে অন্তর্ভুক্ত করেন, যাহার মামলা নং–১৭(২৪ অক্টোবর ২০২৪ইং)।

সেনা কর্তৃক গ্রেফতারকৃত মোঃ আজিজুর রহমান কে উক্ত মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয় যিনি উক্ত এজাহারের ১ নং আসামি, কিন্তু এজাহার ভুক্ত জানে আলম সহ বাকিরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাহিরে। এমনকি আগের নিয়মে মিলছে মেলা চলছে চাঁদাবাজি। এখানেই থেমে নেই জানে আলম গং, জাহাঙ্গীর আলম, মোঃ স্বপন ও রিপনের সংঘবদ্ধ দৌড়াত্ব পৌঁছেছে খাস জমিতে। আলিম মাঠের পাশে স্থানীয় ভাবে আজমের মালিকানা নামে পরিচিত, মূলত যেটি খাস জমিন সেটি দখল করে উল্লেখিত ব্যক্তিরা গড়ে তুলেছেন গরুর খামার ও গাড়ীপার্কিং।

এ’বিষয়ে স্থানীয়দের সাথে আলাপকালে বেড়িয়ে আসে নানা বার্তা তার মধ্যে উল্লেখ্য যে, বিগত স্বৈরাচারের দখলদারিত্ব ও চাঁদাবাজির চর্চা থেকে বেড়িয়ে এসে সুন্দর শৃঙ্খল পরিবেশের প্রত্যাশা অন্যতম।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে