ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ তম উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক। এছাড়াও তিনি ছাত্র জনতার আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছিলেন বলেও জানা গেছে। সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের আদেশক্রমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব শাহিনুর ইসলামের স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে উপাচার্য হওয়ার বিষয়টি বিষয়টি জানানো হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় আইন-১৯৮০ এর ১০(১) ধারা অনুসারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর পদে নিয়োগ করা হয়েছে।
নিয়োগের শর্তে বলা হয়, উপাচার্য হিসাবে তার নিয়োগের মেয়াদ যোগদানের তারিখ হতে চার বছর হবে। পদে থাকাকালীন তিনি তার বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতন-ভাতাদি পাবেন। বিধি অনুযায়ী ভাইস-চ্যান্সেলর পদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসাবে সার্বক্ষণিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে অবদান করবেন। রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর প্রয়োজন মনে করলে যে কোন সময় এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন। জানা গেছে, ড. নকীব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে ১৯৮৯ সালে স্নাতক ও ১৯৯০ সালে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। এছাড়া তিনি অস্ট্রেলিয়ার ম্যাককুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রী সম্পন্ন করেছেন। পরবর্তীতে তিনি ম্যাককুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ে খন্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ গত ৩ সেপ্টেম্বর ঢাবির আইন অনুষদের ডিন হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ড. নকীব। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার আগে তিনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘ ১২ বছর শিক্ষকতা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর,হল প্রভোস্টসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
তার কর্মজীবনে দেশ ও বিদেশে অর্জিত একাডেমিক এবং অনুশীলন উন্নয়ন ব্যবস্থাপনার অভিজ্ঞতার একটি সমৃদ্ধ মিশ্রণ প্রতিফলিত হয়।আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ আইন, মানবাধিকার ও উন্নয়ন ইস্যু, আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন ও বিচার, মানবিক সহায়তা ও যুদ্ধের সুরক্ষা ভিকটিম, উদ্বা¯‘,অভিবাসী ও সংখ্যালঘু, জাতীয় ব্যবসায়িক আইন ও ইসলামিক আইন এবং সামাজিক অধ্যয়নসহ আইন সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ের উপর তার অ্যাকাডেমিক অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিনি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আইন সম্পর্কিত জার্নাল ও বইগুলোতে ৩৫ টিরও বেশি গবেষণা নিবন্ধ ও বইয়ের অধ্যায় রচনায় অবদান রেখেছেন।
এরআগে ছাত্র-জনতার সফল গণঅভ্যুত্থানের পরে গত ৮ আগস্ট পদত্যাগ করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম। এরপর থেকে ৪৬ দিন উপাচার্যশূন্য থাকে বিশ্ববিদ্যালয়টি। প্রসঙ্গত, ইবিতে এ পর্যন্ত মোট ১৩ জন উপাচার্য দায়িত্ব পালন করেছে। এদের মধ্যে ১২ জনই মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেননি। দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, আর্থিক অনিয়মসহ নানা অভিযোগের দায়ে উপাচার্য পদ থেকে সরে দাঁড়াতে হয়েছে তাদেরকে।
কুষ্টিয়া নিউজ ডেস্ক।। বিডি টাইমস নিউজ