জ্বর উঠলেই শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত। বিশেষ করে শিশুদের বেলায় এমনটি বেশি হচ্ছে। সম্প্রতি এমন রোগী বেড়েছে রাজধানীর হাসপাতালগুলোয়। চিকিৎসকেরা বলছেন, ডেঙ্গু কিংবা টাইফয়েডের সঙ্গে অন্য কোনো ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের কারণে এমনটি ঘটছে। এ জন্য জ্বর এলেই অভিভাবকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ চিকিৎসকদের।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পেডিয়াট্রিক গ্যাস্ট্রোএন্টারলজি বিভাগে চিকিৎসাধীন নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা ১১ বছরের তাসকিয়া। গেল মাসের শেষ দিকে এই শিশুর জ্বর আসে। তাসকিয়ার মা হালিমা ইসলাম জানান, সে সময় তাঁর মেয়ের শরীরের তাপমাত্রা ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত ওঠে। পরে নেওয়া হয় হাসপাতালে। হালিমা ইসলাম বলেন, প্রচণ্ড জর আসে, এমন জর পাশে বসা যায় না। এরপর কাউকে দেখতে পারে না, আওয়াজ শুনতে পারে না, অস্থির ভাব থাকে।একইভাবে ঢাকা শিশু হাসপাতালেও প্রায় প্রতিদিনই ভর্তি হচ্ছে উচ্চ তাপমাত্রার জ্বরের রোগী।
বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. ফারহানা আহমেদ স্মরনী বলেন, ‘যারা একটার বেশি ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে তাদের জ্বরের প্রকোপটা বা তাপমাত্রাটাও বেশি। কিছু কিছু শিশুর তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ এখনও স্বয়ংসম্পূর্ণ না, তাদের ক্ষেত্রে কিছুটা কাপুনি বা খিচুনির মতো লক্ষণও আমাদের কাছে এসেছে।’
বিএসএমএমইউ– এর পেডিয়াট্রিক গ্যাস্ট্রোএন্টারলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. ওয়াহিদুজ্জামান মজুমদার বলেন, ‘বেশ গরম চলছে, বাতাসের আদ্রতাও অনেক বেশি, যার জন্য ভাইরাস ইনভেকশন অনেক বেশি। তারমধ্যে ডেঙ্গু ভাইরাস নিয়ে তো আমরা রীতিমতো আতঙ্কিত। যে কোনো ভাইরাস ইনভেকশে প্রচণ্ড জ্বর ওঠে। এসময়ের জ্বর সাধারণত ভাইরাস সংক্রমণেই হয়। তবে নিউমোনিয়া কিংবা টাইফয়েড জীবানুতেও আক্রান্ত হতে পারে রোগী। সঠিক কারণ জানতে, রোগীকে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে নেওয়ার পরামর্শ দেন এই চিকিৎসক। ডা. ওয়াহিদুজ্জামান মজুমদার আরও বলেন, ১০৬–৭ ডিগ্রি জ্বর নিশ্চই স্বাভাবিক না। তাই এ সময় রোগীকে অতিদ্রুত চিকিৎসকের কাছে নিতে হবে।