নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের কোম্পানি আইন লঙ্ঘনের মাধ্যমে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তার বিরুদ্ধে অর্থপাচার, দুর্নীতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনসহ বেশকিছু অভিযোগ আনা হয়েছে। এসব অভিযোগ আদালতে প্রমাণিত হয়েছে। বিচারাধীন কিছু মামলার রায় নিজের পক্ষে পেতে এবং বিচারকদের থেকে অবৈধ সুবিধা পেতে সরকারি কর্মকর্তাকে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে। এসব ঘুষের টাকার মধ্যস্ততা করার জন্য তিনি কিছু দালাল নিয়োগ দিয়েছিলেন। এই অর্থনীতিবিদ তার বিভিন্ন ব্যবসায়ে নিযুক্ত শ্রমিকদের ওপর অমানবিক আচরণ করেছেন। একইসঙ্গে সামাজিক ব্যবসার নামে কোটি কোটি ডলার বিদেশেও পাচার করেছেন।

বিদেশে বিপুল সম্পদের পাহাড় গড়ার পাশাপাশি ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে দেশবিরোধী প্রচারণা চালাতে লবিস্ট নিয়োগ করেছেন। এ কাজে তার আয়ের একটি বড় অংশ খরচ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। মিথ্যা তথ্য দিয়ে গ্রামীণ টেলিকমের পক্ষে ড. ইউনূস জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মস (আরজেএস) এর রেজিস্ট্রারের কাছে বার্ষিক রিটার্ন জমা দিয়েছেন। নন-প্রফিট অর্গানাইজেশন হিসেবে গ্রামীণ টেলিকম তার মূলধন গ্রামীণ কল্যাণের সাথে ভাগ করে নিতে পারে না। কিন্তু প্রমাণ আছে যে, কোম্পানিটি মুনাফা শেয়ারের নামে গ্রামীণ কল্যাণের হিসাবে কোটি কোটি টাকা পাঠিয়েছে। কোম্পানি আইনের ৩৯৭ ধারা অনুযায়ী, মিথ্যা তথ্য দেওয়া শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ড. ইউনূসের নির্দেশে তার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও আইনজীবীরা বছরের পর বছর আরজেএস-এর কাছে মিথ্যা তথ্য দিয়ে রিটার্ন দাখিল করে আসছেন। তবে এ ধরনের অপরাধ নিয়ে তার বিরুদ্ধে এখনো কোনো মামলা হয়নি। যদি এই অভিযোগ নিয়ে তদন্ত করা হয় তবে কোম্পানি আইন লঙ্ঘনের দায়ে ড. ইউনূসের ৫ বছরের সাজা হতে পারে।

সম্প্রতি আরও একটি বিষয় সামনে এসেছে। একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে লাইসেন্স পেয়েছে গ্রামীণ টেলিকম। কিন্তু কোম্পানিটি ড. ইউনূসের বিভিন্ন ব্যাবসায়ে মুনাফা ভাগাভাগি করে আসছে। এ’ধরনের অর্থনৈতিক লেনদেন পর্যালোচনার আওতায় এলে কোম্পানিটি তাদের অলাভজনক অবস্থানটা ধরে রাখতে পারবে না। আরজেএসের নিয়ম ভঙ্গের দায়ে গ্রামীণ টেলিকমের লাইসেন্স বাতিল করার এখতিয়ার রয়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে