ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন ও পুলিশের সাবেক এসপি বাবুল আক্তারসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দিয়েছে পুলিশ। তবে বিশেষ ক্ষমতা আইনের অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ছয়মাস তদন্ত শেষে সম্প্রতি আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করা হয়।
আজ বুধবার(২৬’শে এপ্রিল) আদালত সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। মামলায় সাংবাদিক ইলিয়াস পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়েছে। চার্জশিটভুক্ত অন্য দুই আসামি হলেন- বাবুল আক্তারের ভাই মো. হাবিবুর রহমান লাবু ও বাবা মো. আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া। কাল ২৭ এপ্রিল মামলার দিন ধার্য রয়েছে। এদিন আদালতে এ চার্জশিট উপস্থাপন করা হবে। এ মামলার বিচার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে হবে।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আসামি ইলিয়াস হোসাইন তার ফেসবুক, ইউটিউব চ্যানেল থেকে এসপি বাবুল আক্তারের অডিও কথোপকথন ফাঁস করেন। আর বাবুলের ভাই লাবু ও বাবা আব্দুল ওয়াদুদ মানববন্ধন করেন। এতে তারা বাবুল আক্তারের মুক্তি চেয়ে মানহানিকর তথ্য ছড়ান। আসামি বাবুল আক্তারের সহযোগিতায় ওই সব তথ্য-উপাত্ত আসামি ইলিয়াসের কাছে পাঠানো হয়। পরবর্তীসময়ে আসামি ইলিয়াস অডিও তথ্য ফাঁস করেন। তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫(২), ২৮(২), ৩১(২) ও ৩৫(২) ধারায় অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে। তবে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৬(২) ও ২৫(ঘ) ধারায় অপরাধ প্রমাণিত হয়নি। ২০২২ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় মামলাটি করেন পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার। মামলায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে অভিযোগ আনা হয়। ওই বছরের ১০’নভেম্বর বাবুল আক্তারকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।