ফরিদপুরে যাত্রীবাহী বাস থেকে নামিয়ে একজন স্বর্ণ ব্যবসায়ীর নিকট থেকে ২০টি স্বর্ণের বার ছিনতাইয়ের ঘটনায় রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তৌফিক খান সাদিদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার(২০’শে ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তাকে কোর্টে প্রেরণ করা হবে।
গ্রেফতার তৌফিক খান সাদিদ বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর ইউনিয়নের ইলিশকোল গ্রামের আব্দুল মান্নান খানের ছেলে। বালিয়াকান্দি এলাকা থেকে রবিবার রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে গত শুক্রবার জেলার মধুখালী উপজেলার কামারখালী গড়াই সেতুর টোলঘরের সামনে থেকে স্বর্ণের বারগুলো ছিনতাই করা হয়। এ ঘটনায় রাতে ওই ব্যবসায়ী মধুখালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মধুখালী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ননী গোপাল বলেন, মামলা দায়েরের পর অভিযান চালিয়ে ওই রাতেই মধুখালী উপজেলার আড়পাড়া ইউনিয়নের আড়পাড়া গ্রামের তারা মিয়ার ছেলে রইচ মোল্যাকে (৪০) গ্রেফতার করা হয়। তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এরপর রবিবার রাতে তৌফিক খান সাদিদকে গ্রেফতার করা হয়। মধুখালী থানার ওসি শহিদুল ইসলাম জানান, দুপুরে তৌফিক খান সাদিদকে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
জানা গেছে, কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার চান্দিনা হাসিমপুর গ্রামের শহীদ মিয়ার ছেলে রাসেল মিয়া শুক্রবার ঢাকা থেকে একটি বাসে ভাঙ্গা চৌরাস্তায় নেমে বাস পরিবর্তন করে চুয়াডাঙ্গা রওনা হন। পথিমধ্যে কামারখালী গড়াই সেতুর টোল প্লাজায় পৌঁছালে আট-নয়জন দুর্বৃত্তরা বাসের ভেতরে উঠে ব্যবসায়ী রাসেল মিয়াকে ধরে টানতে টানতে নিচে নামান। এসময় তারা তাকে কিলঘুষি এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে সড়কের পাশে একটি করাতকলের মালিক জুয়েল খানের বাড়ির ভেতরে নিয়ে যান। একপর্যায়ে তার কাছে থাকা ২০টি সোনার বার তারা ছিনিয়ে নেন। প্রতিটি স্বর্ণবারের ওজন ১১৬.৬০ গ্রাম করে সেখানে মোট ২ কেজি ৩৩২ গ্রাম সোনা ছিলো। যার দাম আনুমানিক দেড় কোটি টাকা বলে জানা গেছে।
ফরিদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (মধুখালী সার্কেল) সুমন কর বলেন, এ ঘটনায় ওই ব্যবসায়ী বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও চার-পাঁচজনকে আসামি করে শুকবার বিকালে মধুখালী থানায় মামলা করেছেন। আসামিদের গ্রেফতারে বিভিন্নস্থানে জোরদার অভিযান চলছে।