আদালত থেকে পালিয়ে যাওয়া জঙ্গিরা দেশ ছাড়ছে পারেনি, সীমান্তে অবস্থান করছে। তারা পরিকল্পিতভাবে তিন ভাগে ভাগ হয়ে সীমান্তে পৌঁছেছে। এমন তথ্য দিয়েছেন গোয়েন্দা পুলিশ(ডিবি)। ঘটনাটি তদন্ত করছে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)। আর ছায়া তদন্তে আছে অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিট (এটিইউ)। আদালত থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার সময়ে জঙ্গিরা যে মোটরসাইকেলটি ফেলে যায় তার মালিক হাসান আল মামুন। তিনি রাজধানীর বাসিন্দা।

গোয়েন্দা তথ্য বলছে, মূলত জঙ্গিরা আটটি মোটরসাইকেলে ছিনতাই অভিযানে নামে। দুই ভাগে ভাগ হয়ে কাজ করে তারা। একটি দল যখন আদালতে পুলিশকে আক্রমণ করে আরেকটি দল তখন পাশের গলিতে অপেক্ষায় ছিল। সঙ্গে ছিল ব্যাকআপ টিম। পায়ে হেঁটে তারা দলের অন্যদের অনুসরণ করে। তাদের সঙ্গে ছিল পিস্তল ও হাতে বানানো বোমা। যা তারা বহন করছিল কাঁধের ব্যাগে। জঙ্গিরা অন্তত দুই বিরতিতে দুই বার বাহন পরিবর্তন করে যাত্রাবাড়ি হয়ে ঢাকার সীমানা ছাড়ে। এজন্য তারা সিএনজি আটোরিকশাও ব্যবহার করে। তাদের গন্তব্য ছিল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া বা কুমিল্লার মতো অপ্রচলিত সীমান্ত।

ডিএমপি সিটিটিসি প্রধান মো. আসাদুজ্জামান জানান, প্রত্যেকটা পয়েন্টকে আমরা সতর্ক করে দিয়েছি। তারা যেন কোনোভাবেই সীমান্ত পার না হতে পারে, দেশত্যাগ না করতে পারে। কোনো ভাবেই তারা যেন নিরাপত্তার ফাঁক গলিয়ে পার পেয়ে যেতে না পারে। আসামি ছিনতাইয়ের পর আদালত থেকে একজোড়া খোলা হ্যান্ডকাফ, পাসপোর্ট ও একটি ভুয়া এনআইডি উদ্ধার করা হয়। তদন্ত সংস্থা অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান রুহুল আমিন বলছেন, ময়মনসিংহের ত্রিশালের জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনা মাথায় নিয়ে মাঠে নেমেছেন তারা। আত্মগোপনে থাকার কারণে জঙ্গিদের গ্রেপ্তারে কিছুটা সময় লাগবে বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে