প্রিজন ভ্যানে ওঠানোর সময় পুলিশের চোখে স্প্রে করে ছিনিয়ে নেওয়া হলো দুই জঙ্গিকে। প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন ও লেখক অভিজিৎ রায় হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল এই দুজনকে। রোববার বেলা ১২টার দিকে ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের সামনে ঘটে এই ঘটনা। দুই জঙ্গির একজন হলেন মইনুল হাসান শামীম ওরফে সিফাত সামির। অপরজন হলেন মো. আবু ছিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব। এদের ধরিয়ে দিতে পুলিশ এক সময় পুরস্কারও ঘোষণা করেছিল। তারা জামাতুল মোজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্য। ‌

ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) ফারুক হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। পুলিশের দাবি, জঙ্গিরা আদালত প্রাঙ্গণে পুলিশের দিকে স্প্রে ছোড়ার পরই চারদিকে ধোঁয়ার মতো হয়ে যায়। এরপরই একটি মোটরসাইকেলে উঠে দ্রুত পালিয়ে যায় তারা। মোটরসাইকেলটি চালাচ্ছিল আরেকজন। মইনুল হাসান শামীম ও মো. আবু ছিদ্দিক সোহেল একাধিক মামলার আসামি।পালিয়ে যাওয়া দুই জঙ্গিকে ধরতে রেড এলার্ট জারি করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ। রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় বসানো হয়েছে চেকপোস্ট।

এদিকে, এই ঘটনায় কারও গাফিলতি থাকলে কঠোর ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। ২০১৫ সালের ৩১’অক্টোবর রাজধানীর শাহবাগে আজিজ সুপার মার্কেটের নিজ অফিসে খুন হন ফয়সাল আরেফিন দীপন। ওইদিন বিকালে তার স্ত্রী শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় বহিষ্কৃত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়াসহ ৮’আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। ফয়সলের প্রকাশনা সংস্থা জাগৃতি থেকে বিজ্ঞান লেখক অভিজিৎ রায়ের ‘বিশ্বাসের ভাইরাস’ ও ‘অবিশ্বাসের দর্শন’ নামে দুটি বই প্রকাশ করা হয়। এর আগে, ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে একুশের বইমেলা থেকে বের হওয়ার পথে ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় অভিজিৎ রায়কে কুপিয়ে হত্যা করে জঙ্গিরা।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে