রঙিন আলোগুলো যতটা উচ্ছ্বাসে ঢেউ খেলছিলো তার চেয়েও বেশি উম্মাদনা ঝরে পড়ছিলো দর্শকদের করতালিতে। এর সাথে মিউজিকের শব্দ শরীরে অন্যরকম একটা শিহরণ বইয়ে দিচ্ছে। খোলা আকাশের নিচে সবুজ ঘাসের উপরে কালো রঙের আবহে প্রস্তুত মঞ্চ আর ভিআইপি গ্যালারিও মেতে ছিলো উৎসবে।সামনে কয়েকগজ দূরে কারুশিল্পীদের প্রদর্শনীর জন্য চাটাইয়ের ছোট ছোট খুপরি ঘরগুলো যেন ফুটে তুলেছে শতভাগ বাঙালিয়ানা। আড়ংয়ের চল্লিশ বছর পূর্তি উৎসবের সমাপনী দিনে জনপ্রিয় ব্যান্ড নগরবাউল, জলের গান এবং মিনারের কনসার্টের পরিবেশ ছিলো এমনই এক ঐতিহ্যময় উৎসবমূখর।

এদিকে দর্শকদের দীর্ঘ প্রতিক্ষা। প্রিয় শিল্পীর গান আর গীটারের শব্দে মন ভেজাবেন। অপেক্ষার অবসান ঘটায় মিনার। শুরুতেই প্রিয় শিল্পী আইয়ুব বাচ্চুর স্মরণে ‘হাসতে দেখো, গাইতে দেখো গান’ দর্শকদের আড়মোড়া ভেঙে দেয়। এরপর একাধারে মিনারের ‘কারণে অকারণে’, ‘তুমি যাওরে বৃষ্টি’, ‘ঘাসফুল’, ‘আহারে আহারে’ এবং ‘ঝুম’ গান দর্শকদের উচ্ছ্বাসকে বাড়িয়ে দেয় আরও বহুগুণে।

এরপর গানের ছন্দের পরিবর্তন ঘটায় জলের গান। দর্শকপ্রিয় এই ব্যান্ডের জনপ্রিয় ‘বকুল ফুল’, ‘রঙিন প্রজাপতি’, ‘মা’সহ আরও কয়েকটি গান দর্শকদের যেন নতুন করে প্রাণ ফিরিয়ে দেয়। ব্যান্ড সংগীতের অন্যতম কিংবদন্তী আইয়ুব বাচ্চুর স্মরণে দেশাত্ববোধক ‘বসুন্ধরা’ গানটি পরিবেশন করে এই ব্যান্ড দল।

এতক্ষণ পর দর্শকদের করতালিই বলে দিচ্ছিল যেন এ সময়টুকু তার জন্যই অপেক্ষা। জনপ্রিয় ব্যান্ড তারকা জেমস-এর আগমনে ফিরে আসে নতুন উম্মাদনা। শুরুতেই জেমসের কণ্ঠে বহুল প্রিয় ‘দুখিনী দুঃখ করো না’ গান। তারপর ‘লেইস ফিতা লেইস’, ‘গুরু ঘর বানাইলা কী দিয়া’ এবং ‘মা’সহ জনপ্রিয় গানগুলো দর্শকদের দিয়েছে বাধ ভাঙা উচ্ছ্বাস।

কনসার্টের শুরুতে প্রয়াত জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী আইয়ুব বাচ্চুর স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এতে বক্তব্য রাখেন আড়ং এর সিইও আশরাফুল আলম। এছাড়াও কনসার্টে তাগা ম্যান ব্র্যান্ডের ভিডিও প্রদর্শনীও করা হয়।

এস এম শাফায়েত
বিনোদন ডেস্ক ।। বিডি টাইম্‌স নিউজ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে