ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে ১৭ মার্চ বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে চিত্রাঙ্কন, রচনা ও ভাষণ প্রতিযোগীতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে ৭, ১৭, ২৫ ও ২৬ মার্চ উদ্ধযাপন কমিটি আহবায়ক ও পরিচালক, টিএসসিসি প্রফেসর ড. মোঃ বাকী বিল্লাহ’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালাম এ কথা বলেন।

ভাইস চ্যান্সেলর বলেন, জাতির পিতার স্বপ্নকে লালন করে সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। তাহলেই জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে। তিনি জাতির পিতার হত্যাকান্ডের সাথে সরাসরি জড়িত সাজা প্রাপ্ত পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পলাতক খুনিদের ধরে এনে রায় বাস্তবায়নের জন্য সরকারের প্রতি উদ্দাত্ত আহবান জানান।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ মাহবুবুর রহমান ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজের কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্যোশে বলেন, দেশের সকল গনতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পর্কে তোমাদেরকে নিয়মিত পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি পড়তে হবে। কিভাবে ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু দেশ স্বাধীন হলো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাধ্যমে তাঁর সম্পর্কে তোমাদেরকে জানতে হবে।কারন তোমোদের হাতেই দেশের ভবিষ্যৎ শাসনভার। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়বার কাজটি আজ দৃঢ় হাতে করে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধুর তনয়া জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

অপর বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া বলেন, তিনি শিশুদেরকে অত্যন্ত ভালোবাসতেন এজন্য ১৯৯৬ সালে তৎকালীন সরকার দিনটিকে জাতীয়ভাবে শিশু দিবস হিসাবে ঘোষণা করেন। তিনি অসাম্প্রদায়িক, ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠাই বঙ্গবন্ধুর দর্শনকে ধারণ, লালন ও বাস্তবায়নের জন্য উপস্থিত সকলের প্রতি উদ্দাত্ত আহবান জানান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ. এম. আলী হাসান। পরে চিত্রাঙ্কন, রচনা ও ভাষণ প্রতিযোগীতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় সভাপতি, অফিস প্রধান, শিক্ষক সমিতির সভাপতি, কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল স্তরের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ইবি ল্যাবরোটরী স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন তথ্য, প্রকাশনা ও জনসংযোগ অফিসের উপ পরিচালক মোঃ রাজিবুল ইসলাম। এর আগে ১৭’ই মার্চ রবিবার সকাল ৯টায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে প্রশাসন ভবন চত্বরে আনন্দের প্রতীক বেলুন উড়িয়ে বর্ণাঢ্য আনন্দ র‌্যালির উদ্বোধন করেন ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালাম। এরপর ভাইস চ্যান্সেলরের নেতৃত্বে বর্ণাঢ্য আনন্দ র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়। আনন্দ র‌্যালিতে উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ মাহবুবুর রহমান, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া ও রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ. এম. আলী হাসানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অনুষদ, বিভাগ, হল, সকল পর্যায়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রী, বিভিন্ন সমিতি, পরিষদ, ফোরাম, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজের কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসমূহ।

র‍্যালিটি ক্যাম্পাসের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে “মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব” মুর‌্যাল চত্বরে শেষ হয়। বর্ণাঢ্য আনন্দ র‌্যালি শেষে “মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব মুর‌্যালে” বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালাম। এ’সময় উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ মাহবুবুর রহমান, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া এবং রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ. এম. আলী হাসান। এরপর পর্যায়ক্রমে বিশ^বিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল, বিভাগসমূহ ও পরিষদ, সংগঠনসমূহ মৃত্যুঞ্জয়ী মুুজিব মুর‌্যালে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের করেন। এছাড়া বঙ্গবন্ধুর আত্মার শান্তি ও মাগফিরাত কামনায় বাদ যোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে