কুয়াশার চাদর ভেদ করে ক’দিন ধরে উঁকি দিচ্ছে সূর্য। তবে বেশিক্ষণ স্থায়ী না হওয়ায় কমাতে পারছে না শীতের তীব্রতা। যদিও রোদের ফলে ক’দিনে কিছুটা বেড়েছে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। তবে এখনো সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে এক অঙ্কের ঘরে। এরই মধ্যেই চলমান শৈত্যপ্রবাহ নিয়ে দুঃসংবাদ দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সংস্থাটি জানিয়েছে, দেশের বেশকিছু জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া শৈত্যপ্রবাহ বিস্তার লাভ করতে পারে।

বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায় ১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। পাশাপাশি আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে উত্তরের জেলা দিনাজপুরে, ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ঢাকায় আজ সর্বনিম্ন ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আগামীকাল শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের দু’এক জায়গায় হালকা বৃষ্টি অথবা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। তবে এই সময়ে মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং তা কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। সেই সঙ্গে ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন এবং সড়ক পরিবহন চলাচল ব্যাহত হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, বর্তমানে নওগাঁ জেলাসহ রংপুর বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা বিস্তার লাভ করতে পারে। ফলে শুক্রবার সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

সংস্থাটি জানিয়েছে, উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলে অবস্থান করছে। সেই সঙ্গে মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। আর এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এই অবস্থায় বৃহস্পতিবার ঢাকায় উত্তর/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮-১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইছিল। পাশাপাশি সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৭৫ শতাংশ। এই অবস্থায় আগামীকাল শুক্রবার ঢাকায় সূর্যোদয় হবে ভোর ৬টা ৪২ মিনিটে এবং সূর্যাস্ত যাবে সন্ধ্যা ৫টা ৪০ মিনিটে।

এদিকে, আগামী শনিবার (২৭ জানুয়ারি) আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং তা কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। সেই সঙ্গে ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন এবং সড়ক পরিবহন চলাচল ব্যাহত হতে পারে। আর এই সময়ে সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

অন্যদিকে, আগামী রোববার (২৮ জানুয়ারি) আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। পাশাপাশি এদিনও রোববারের মতোই কুয়াশা ও এর প্রভাব থাকতে পারে। তবে এদিন সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এছাড়া আগামী ৫ দিনের শেষের দিকে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে