রাকিবুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ সংবাদদাতা।।  সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে একজন প্রার্থীর পক্ষে গোপন বৈঠক করার অভিযোগে ৫ প্রিজাইডিং অফিসার ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ কারনে ১০ প্রিজাইডিং অফিসারকে পরিবর্তন করেছে রিটানিং কর্মকর্তা। সোমবার  রাতে  জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সন্মেলনে জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান এ তথ্য জানান।

গ্রেপ্তারকৃতারা হলো, সিরাজগঞ্জ সদর  উপজেলার যমুনা ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম,  শহরের এস বি রেলওয়ে কলোনী হাই স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আশরাফুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ পুলিশ লাইন্স স্কুল এন্ড কলেজের প্রভাষক আবু সামা, বাহুকা কলেজের প্রভাষক বাচ্চু কুমার ঘোষ, জনতা ব্যাংক সিরাজগঞ্জ জোনাল অফিসের প্রিন্সিপাল অফিসার ইয়াসিন আরাফাত এবং এদের সমন্বয়ক শিয়ালকোল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আমিনুর ইসলাম।

জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান জানান, রবিবার রাতে  গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়  সদর উপজেলার কাদাই এলাকার একটি রিসোর্টের ভিতর সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার তালিকাভুক্ত কতিপয় প্রিজাইডিং অফিসার  একজন চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনেকে প্রভাবিত করতে  গোপন বৈঠক করছেন। সংবাদ পাওয়ার পরই সেখানে পুলিশ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও নির্বাচন অফিসের সমন্বয়ে অভিযান চালানো হয়। কিন্তু তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে তাদের পাওয়া যায়নি। অভিযানকালে ঘটনাস্থল থেকে সিসি টিভির ফুটেজ ও ওই প্রতিষ্ঠানের কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের থানায় নিয়ে আসা হয়।

সংবাদ সন্মেলনে পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল জানান, এ সংক্রান্ত বিষয়ে সোমবার দিনভর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৫ জন প্রিজাইডিং অফিসার  ও এদের মাষ্টার মাইড  শিয়ালকোল সরকারি  প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আমিনুর ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে। তবে কোন প্রার্থীর পক্ষে গোপন বৈঠক করা হচ্ছিল সে বিষয়টি আরো তদন্তের পর জানানো হবে বলে জানান তিনি। সংবাদ সন্মেলনে রিটারিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় ৮ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ২০ জনের বিরুদ্ধে  সোমবার মামলা দায়ের  করা হয়েছে। সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় ১৭১টি কেন্দ্র রয়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে