সুদীপ্ত মুখার্জী, কলকাতা।। কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-হাই কমিশনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫’তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে গৃহিত কর্মসূচির মধ্যে ছিল’ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য অর্পণ, বঙ্গবন্ধু মঞ্চ এবং ‘বঙ্গবন্ধু কর্ণার’ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন, দোয়া এবং আলোচনা সভা।
শনিবার সকালে উপ-হাইকমিশন প্রাঙ্গনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরনের মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। পরে উপ-হাইকমিশ প্রঙ্গনে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির উদ্দেশে নির্মিত ‘বঙ্গবন্ধু মঞ্চ এবং ‘বঙ্গবন্ধু কর্ণারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান। পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে উপ-হাই কমিশনের পক্ষ থেকে সর্বস্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারি বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন।
বাংলাদেশ গ্যালারীতে পঁচাত্তরের ১৫’ই আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের অন্যানা শহীদ সদস্য ও মুক্তিয়োদ্ধাদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালনসহ তাঁদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা থেকে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতির বাণী পাঠ করেন উপ-হাইকমিশনের কাউন্সেলর (শিক্ষা ও ক্রীড়া) শেখ শফিউল ইমাম, প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন (কন্স্যুলার) মো: বশির উদ্দিন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন প্রথম সচিব (বানিজ্য) শামসুল আরিফ ও প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) শামীমা ইয়াসমীন স্মৃতি। দুপুরের আণুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন উপ-হাই কমিশনের মিনিস্টার (রাজনৈতিক) ও দূতালয় প্রধান বি এম জামাল হোসেন। বিকেলে বাংলাদেশ গ্যালারীতে উপ-হাই কমিশনার তৌফিক হাসানের সভাপতিত্বে আলোচনা অনুষ্ঠানে ভারচুয়াল প্লাটফর্মে অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশের সাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, রাজনৈতিক বিশ্লেষক সুভাষ সিংহ রায়, পশ্চিমবঙ্গের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক ড. পবিত্র সরকার এবং বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সন্মাননাপ্রাপ্ত কলকাতার বিশিষ্ট সাংবাদিক দিলীপ চক্রবর্তী।
তৌফিক হাসান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধ নিবেদন করে বলেন,”তিনি ছিলেন বাঙালি জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা এবং স্বাধিনতার মহান রূপকার। বাঙালির মুক্তি ও অধিকার আদায়ে পরিচালিত প্রতিটি গণতান্ত্রিক ও স্বাধীকার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন তিনি। সেলিনা হোসেন বলেন “বঙ্গবন্ধু হচ্ছেন মৃত্যুহীন প্রাণ, কাজেই ১৫’ই আগস্ট শোকের নয় বরং শক্তির জায়গা। বঙ্গবন্ধুর মানুষের প্রতি ভালোবাসা, তাঁর তারুন্যের শক্তি তরুণ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে”।
পবিত্র সরাকার বলেন ,”বঙ্গবন্ধুর মৃত্যু পৃথিবীর জঘণ্যতম হত্যাকান্ডের একটি। বঙ্গবন্ধু পৃথিবীর ইতিহাস বদলে দিয়েছেন একটি নতুন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। সুভাষ সিংহ রায় বলেন ”বঙ্গবন্ধুর পুরো পরিবার ছিল বাঙ্গালী জাতির জন্য নিবেদিত প্রাণ”।
কলকাতা নিউজ ডেস্ক ।। বিডি টাইম্স নিউজ