গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা এবং ট্রাস্টি বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে ভূত ও চক্রান্তকারীদের প্রবেশ ঘটেছে। অনলাইনে অনুষ্ঠিত ‘জনস্বাস্থ্য কনভেনশন ২০২০’ এর উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে এমন মন্তব্য করেন মুক্তিযোদ্ধা চিকিৎসক ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
বাংলাদেশের চিকিৎসা সেবার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক চক্রান্তের অভিযোগ করে ড: জাফরুল্লাহ আরও বলেন, কোন ওষুধের গবেষণা করার জন্য সম্মতি দেওয়ার কর্তৃপক্ষ হচ্ছে বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল (বিএমআরসি)। তারা চীনের উৎপাদিত করোনা ভ্যাকসিন ট্রায়ালের অনুমতি দিয়েছে। হঠাৎ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এটা বন্ধ করে দিয়েছে। এতে প্রমাণ হয় চক্রান্তে এদের অংশগ্রহণ রয়েছে। বিভিন্নভাবে তাদের চর এবং দালালেরা এখানে অনুপ্রবেশ করেছে। এ সময় তিনি প্রশ্ন করেন, চীনের করোনা ভ্যাকসিন রিসার্চ করা হবে তাতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এত মাথাব্যথা কেন? আইসিডিডিআরবি ইউরোপের বিভিন্ন কোম্পানির পক্ষে অতীতেও গবেষণা করেছে, কই তখন তো কোনো আপত্তি তোলা হয় নাই। আজকে আপত্তির কারণ এখানে ট্রিলিয়ন ডলারের ব্যবসা রয়েছে। চীনের এই ভ্যাকসিনের ট্রায়াল যদি সফল হয়, তাহলে আমাদের অনেক অর্থের সাশ্রয় হবে। এর সঙ্গে জনগণের স্বাস্থ্যব্যবস্থা জড়িত। তিনি আরও বলেন, ভ্যাকসিনের গবেষণা অনেক সময়সাপেক্ষ একটা বিষয়। অনেক অর্থের প্রয়োজন হয়। তবে গবেষণা একবার শুরু হলে উৎপাদন মূল্য অনেক কম হয়। আজকে আমাদের উচিৎ হবে চীনের এই ভ্যাকসিন গবেষণায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করা। ভ্যাকসিন গবেষণায় চীনের সঙ্গে আমাদের একটা চুক্তি থাকতে পারে, ভ্যাকসিনের সফলতায় শতকরা ৫০ ভাগের মালিক হবো আমরা। এতে বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থ রক্ষিত হবে।
গণসংহতি আন্দোলন আয়োজিত আজকের এ কনভেনশনে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি।
নিউজ ডেস্ক ।। বিডি টাইম্স নিউজ