বাংলাদেশে দরিদ্রদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে তাদের জন্য আজ থেকে স্বাস্থ্য বীমা প্রকল্প চালু করতে যাচ্ছে সরকার।
পাইলট প্রকল্প আকারে টাঙ্গাইলের তিনটি উপজেলায় আজ এই সেবাটি চালু হবে।
এই পাইলট প্রকল্পে দরিদ্রসীমার নীচে থাকা প্রায় এক লাখ মানুষ অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আশাদুল ইসলাম বিবিসিকে বলেছেন, “যারা দরিদ্র তারা অনেক সময় টাকার কারণে সঠিক স্বাস্থ্য সেবা নিতে পারেন না। এমনকি অনেক পরিবার স্বাস্থ্য সেবা নিতে যেয়ে গরীব হয়ে যায়। তাই সরকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এদিকে নজর দিচ্ছে”।
প্রকল্পের আওতায় দরিদ্র মানুষেরা জেলা ও উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে ৫০টি রোগের চিকিৎসা বিনামূল্যে পাবেন।
মি: ইসলাম জানিয়েছেন, এই চিকিৎসা ব্যয় নির্বাহের জন্য পরিবার প্রতি বছরে ১ হাজার টাকা প্রিমিয়াম হিসেবে প্রদান করবে সরকার। আর প্রতি পরিবার বছরে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত চিকিৎসা সুবিধা লাভ করবে।
এই কর্মসূচীর অধীনে নির্দিষ্ট সূচক ব্যবহার করে পাইলট এলাকায় দরিদ্রসীমার নিচে বসবাসকারী প্রায় ১ লাখ পরিবার চিহ্নিত করা হয়েছে এবং এসব পরিবারকে একটি হেলথ কার্ড প্রদান করা হয়েছে।
বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি, জটিল ও ব্যয়বহুল রোগের প্রাদুর্ভাব, নতুন চিকিৎসা পদ্ধতি ইত্যাদি নানা কারণে চিকিৎসা সেবার খরচ বেড়েছে। এতে নিম্নবিত্ত পরিবারের মানুষদের আর্থিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষার নতুন এ উদ্যোগ।
অনেক দেশে এই সেবা চালু থাকলেও, বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো চালু হচ্ছে। এবারের অভিজ্ঞতা থেকে পরবর্তীতে সেবাটি আরো বাড়ানো হবে।