সাঁতারের মতো ভাল ব্যায়াম খুব কমই আছে। সাঁতার আমাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। চলুন জেনে আসি সাঁতারের কিছু উপকারিতা।
১. নিয়মিত সাঁতার কাটলে হৃৎপিণ্ড এবং ফুসফুস অনেক বেশি সুস্থ থাকে। নানা গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যাঁরা নিয়মিত সাঁতার কাটেন, তাঁদের হৃদরোগের সমস্যাও অনেকখানি কমে যায়।
২. আর্থ্রাইটিসের সমস্যা কিংবা হাঁটু, পায়ের ব্যথা থাকলেও সাঁতার কাটতে পারেন।
৩. হাঁপানির মতো রোগে সাঁতার খুব ভাল ফল দেয়। আবার সাইনাসের ব্যথা কমাতেও সাহায্য করে সাঁতার। তবে এই দু’টি ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অবশ্যই প্রয়োজন। সাধারণ সুইমিং পুলের পানিতে ক্লোরিনের মাত্রা কম-বেশি হলে তা কিন্তু রোগের কষ্ট বাড়িয়ে তোলে।
৪. শরীরের মেদ কমাতে চাইলে সাঁতারের কোনো বিকল্প নেই।
৫. বার্ধক্যজনিত ঘুমের সমস্যা দূর করে সাঁতার। ইনসমনিয়ার মতো সমস্যায় যাঁরা ভোগেন, তাঁরা নিয়মিত সাঁতার কাটলে ভাল থাকবেন। আবার ঘুমও হবে ভাল।
৬. স্ট্রেস, হতাশা কাটিয়ে সাঁতার মুডও ভাল করে তোলে। ডিমেনশিয়া জাতীয় নানা মানসিক সমস্যায় মস্তিষ্ক ও মন ভাল রাখার অন্যতম উপায় হিসেবে সাঁতারকে বেছে নিতে বলেন বিশেষজ্ঞরা।
৭. সাঁতার সাধারণত বেশির ভাগ মানুষের জন্যই উপকারী। তবে সোরিয়াসিস জাতীয় ত্বকের রোগে যাঁরা ভোগেন, তাঁদের সুইমিং পুলের পানিতে সাঁতার কাটা উচিত নয়। এতে সমস্যা বাড়তে পারে। আবার অন্তঃসত্ত্বা মহিলারা ঠিক কত দিন পর্যন্ত সাঁতার কাটতে পারবেন, সে বিষয়েও চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
সাঁতারের সতর্কতা
১. সাঁতার কাটতে গিয়ে অনেক সময়েই ক্ষতিগ্রস্ত হয় ত্বক। একই সুইমিং পুল একাধিক মানুষ ব্যবহার করার ফলে ত্বকে অ্যালার্জি, র্যাশ বেরোতে পারে। সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
২. অত্যধিক ক্লান্ত থাকলে, ঠান্ডা লাগলে কিংবা প্রচণ্ড গরম থেকে এসে সাথে সাথে সাঁতার কাটা ঠিক নয়। তার আগে সামান্য বিশ্রাম নিন।
৩. সাঁতার কাটার সময়ে কখনোই মুখে চিউয়িং গাম জাতীয় কিছু রাখবেন না। এতে বিপদের আশঙ্কা থাকে।
৪. বিদ্যুৎ চমকালে বা মেঘ ডাকলে পানি থেকে উঠে পড়ুন। ঐ সময়ে সাঁতার কাটা থেকে বিরত থাকা উচিত।
৫. সাঁতার কাটার সময়ে লাইফগার্ডের নিয়মাবলি মেনে চলুন।