মুসলিম আইনানুযায়ী বিয়ের মাধ্যমে নারীর মর্যাদা, অধিকার সংরক্ষিত হয়। মুসলিম আইনে পুরুষের মতো নারীরও রয়েছে সমাজে অধিকার ও মর্যাদা। মুসলিম আইনে বিয়ে এমনই একটি বিষয় যার মাধ্যমে নারী ও পুরুষের অধিকার রক্ষিত হয়।

একজন নারী ও পুরুষের মধ্যে সম্পর্কের ভিত্তি হলো বিয়ে। মুসলিম পারিবারিক আইনে বিয়ে, তালাক, ভরণপোষণ, যৌতুক ইত্যাদি বিষয়গুলো আলোচিত হয়। বিয়ের মাধ্যমেই নারী-পুরষের সম্পর্কের বৈধতা পায়। আইনানুযায়ী বিয়ে একটি দেওয়ানি চুক্তি। বিয়ে যেমন বৈধ। মুসলিম আইন তালাককেও তেমনি বৈধতা দিয়েছে।

স্ত্রী কি তালাক দিতে পারেন?
কাবিন নামায় স্বামী তার স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার ক্ষমতা অর্পণ করতে পারেন। এ ক্ষমতা শর্তযুক্তও হতে পারে। স্ত্রী অর্পিত ক্ষমতা বলে স্বামীকে তালাক দিতে পারেন। এছাড়াও বেশ কয়েকটি কারণে স্ত্রী স্বেচ্ছায় স্বামীকে তালাক দিতে পারেন।

আদালতের মাধ্যমে স্ত্রীর তালাক দেওয়া ক্ষমতা:
যদি বিয়ের কাবিননামায় স্ত্রীকে তালাকের কোনো ক্ষমতা অর্পন করা না হয়, তবে স্ত্রী আদালতের অনুমতি নিয়ে তালাক দেওয়ার ক্ষমতা অর্জন করতে পারেন।

স্ত্রী যেসব কারণে তালাক দেওয়ার অধিকার অর্জন করে:
– স্বামী যদি চার বছর নিরুদ্দেশ থাকেন।
– স্বামী যদি দুই বছর ভরণপোষণ না দেন।
-স্বামী যদি আইনের লঙ্ঘন করে দ্বিতীয় বিবাহ করেন।
– স্বামী যদি সাত বছর বা এর বেশি সময়ের জন্য কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন
– স্বামী যদি যুক্তিসংগত কারণ ছাড়া তিন বছর বৈবাহিক দায়িত্ব পালন না করেন।
– স্বামী যদি পুরুষত্বহীন থাকেন।
– স্বামী যদি দুই বছর অপ্রকৃতিস্থ বা মারাত্মক ব্যাধিতে ভোগেন।
– নাবালিকা অবস্থায় স্ত্রীর সঙ্গে বিয়ে হয়ে থাকলে সাবালিকা হওয়ার পর স্ত্রী যদি তা অস্বীকার করেন।
– স্ত্রীর সঙ্গে স্বামী নিষ্ঠুর আচরণ বা নির্যাতন করলে।

পরকীয়া করলে স্ত্রী কি তার স্বামীকে তালাক দিতে পারেন?
হ্যা, স্বামী যদি অন্য নারীর সাথে মেলামেশা করেন বা অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তবে স্ত্রী তার স্বামীকে তালাক দিতে পারেন। এছাড়াও শারীরকি ও মানসিক নির্যাতন, নৈতিকতাবিরোধী জীবনযাপন, স্ত্রীর সম্পত্তির বৈধ অধিকার প্রয়োগে বাধা প্রদান, স্ত্রীর ধর্মীয় চর্চায় বাধা প্রদান ইত্যাদি কারণে স্ত্রী স্বামীকে তালাক দিতে পারেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে