ওয়ানডে সিরিজে ৩-০তে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর দুই ম্যাচ টি-২০ সিরিজের প্রথমটিতে ধোনির নেতৃত্বে সফরকারী ভারতকে মাত্র ২ রানে হারালো জিম্বাবুয়ে।
তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ হারার পর দুই ম্যাচের টি-২০ সিরিজে ভালো করার ইঙ্গিত দিচ্ছে জিম্বাবুয়ে। প্রথম ম্যাচে চিগুম্বুরার ফিফটিতে সফরকারী ভারতকে ১৭০ রানের লড়াকু টার্গেট দেয় ক্রেমার বাহিনী। জবাবে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৮ রানেই থেমে যায় ধোনির তরুণ ভারত।
শনিবার হারারেতে টস জিতে বল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ভারত অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। আগে ব্যাট করতে নেমে ওপেনিংয়ে ৩৩ রানের জুটি গড়ে জিম্বাবুয়ে। এরপর বুমরাহ ও ঋষি ধাওয়ানের আঘাতে দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে স্বাগতিকরা। মাসাকাদজা ২৫ ও চিবাবা ২০ রান করে আউট হন। এরপর রাজা ২০ ও ওয়ালার ৩০ রান করে আউট হলে চিগুম্বুরা একাই দলকে ওই বড় সংগ্রহ পাইয়ে দেন। মাত্র ২৬ বলে ১টি চার ও ছয়টি বিশাল ছক্কায় ৫৪ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।
ভারতের বোলারদের মধ্যে বুমরাহ ২টি উইকেট নেন। এছাড়া ঋষি ধাওয়ান, অক্সার প্যাটেল ও চাহাল ১টি করে উইকেট নেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম বলেই ডোনাল্ড ত্রিপানোর বলে সরাসরি বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন ওয়ানডে সিরিজে দুর্দান্ত খেলা লোকেশ রাহুল (০)। এরপর অভিষিক্ত ওপেনার মানদিপ সিংয়ের সঙ্গে এসে ৪৪ রানের জুটি বাঁধেন আম্বাতি রায়ডু। ১৯ রান করে চিবাবার বলে বোল্ড হন তিনি। কিছুক্ষন পর মানদিপও ব্যক্তিগত ৩১ রান করে ওই চিবাবার শিকার হন। ফলে দলিয় ৫৩ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে ইন্ডিয়া। তবে এরপর মানিশ পান্ডে ও ধোনির ৫৩ রানের জুটি দলকে জয়ের দিকেই নিয়ে যাচ্ছিলো। কিন্তু ১৭.২ ওভারে দলিয় ১৪৩ রানে ব্যক্তিগত ৪৮ রানে মানিশ আউট হলে ভারতে জয় কিছুটা ফিকে হয়ে যায়। পরে অক্সার প্যাটেল ক্রিজে এসে ২টি ছক্কা হাঁকিয়ে হারের শঙ্কা উড়িয়ে দিতে থাকেন।
শেষ ওভারে ভারতের জয়ের জন্য দরকার ছিলো মাত্র ৮ রান। কিন্তু ওই ওভারের দ্বিতীয় বলে ছক্কা হাঁকাতে গেলে মাদজিভার বলে ক্যাচ আউট হন প্যাটেল। তবে ধোনি ক্রিজে থাকলেও বাকি বলগুলো থেকে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলতে না পারলে ২ রানের জয় পায় স্বাগতিকরা। ধোনি ১৭ বলে ১৯ রান করে অপরাজিত থাকেন। আর এই জয়ের ফলে টি-২০ সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেলো জিম্বাবুয়ে।
জিম্বাবুয়ের বোলারদের মধ্যে মুজারাবানি ও চিবাবা ২টি করে উইকেট পান।
ম্যাচ সেরা হন এল্টন চিগুম্বুরা।